গাজীপুরে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষে তিনজন নিহতের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এতে মাওলানা স🌠াদ কান্ধলভীর ২৯ জন অনুসারীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকশ জনকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামল♐ার ৫ নম্বর আসামি মোয়াজ বিন নূরকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ভোরে পুলিশ ঢাকার উত্তরা থেকে মোয়াজ বিন নূরকে গ্রেপ্🔯তার করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার টঙ্গী পশ্চিম থানায় এই মামলা হয়। মামলার বাদী শুর🐬ায়ে নেজামের (জুবায়রপন্থী) সাথী এস এম আলম হোসেন। তিনি কিশোরগঞ্জ সদর থানার গাইটাল গ্রামের এস এম মোক্তার হোসেনের ছেলে ও আলমি শুরার কিশোরগঞ্জ জেলার সাথী।
গ্রেপ্তার নূর ঢাকা উত্তরা ৭ নম্🌠বর সেক্টরের নূর মোহাম্মদের ছেলে। তিনি সাদপন্থিদের মꦓূখপাত্র হিসেবে পরিচিত।
পুলিশ জানায়, টঙ্গী ইজতেমা মাঠে তিনজন নিহতের ঘটনায় গতকাল মামলা হয়। এই মামলা🐈র ৫ নম্বর আসামি মোয়াজ বিন নূরকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার উত্তরায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন আব্দুল্লাহ মনসুর, ওসামা ইসলাম, ড. কাজী এরতেজা হাসান, মোয়াজ বিন ন๊ুর, জিয়া বিন কাশেম, আজিমুদ্দিন, সৈয়দ আনোয়া♒র আব্দুল্লাহ, শফী উল্লাহ, আনাস, আব্দুল্লাহ শাকিল, রেজা আরিফ, আব্দুল হান্নান, রেজাউল করিম তরফতার, মুনির বিন ইউসুফ, সায়েম, হাজী বশির শিকদার, মনির হোসেন তুষার ওরফে হাজী মনির, ইঞ্জিনিয়ার মুহিবুল্লাহ, মো. আতাউর রহমান, তানভীর, বাবুল হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার আবুল বশর, ইঞ্জিনিয়ার রেজানুর রহমান, নাসির উদ্দিন সিকদার, ড. আব্দুস সালাম, ওয়াসি উদ্দিন, মিজান ও শাহাদাত।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে সাদপন্থী আসামিরা ২০ ডিসেম্বর জোড় ইজতেমা করার জন্য ১৮ ডিসেম্বর ভোরে জোর পূর্বক বিশ্ব ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করে হতাহতের ঘটনা ঘটায়। আাসামিরা আলমি শুরার সাথী কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামের মৃত উসমান গনির ছেলে আমিনুল ইসলাম ওরফে বাচ্চু মিয়া (৭০), ফরিদপুর সদর থানার কমলা গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে বেলাল হোসেন (৬০) ও বগুড়া জেলার সদর থানার ধাওয়াপাড়া পূর্বপাড়া গ্রামের ওমর উদ্দিনের ছেল✨ে তাজুল ইসলামকে (৭০) পিটিয়ে হত্যা করে। নিহতরা সকলেই আলমি শুরা বা শুরায়ে নেজামের (জুবায়েরপন্থী) সাথী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।