দীর্ঘ ৭ বছর আগে সেতুটি ভেঙে যায়।♛ এরপর সেতুটি সংস্কার বা নতুন করে সেতু নির্মাণের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এতে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন দুই পাড়ের ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। সেতুটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ায় দেড় কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরে গন্💞তব্যে যেতে হয় এখানকার মানুষদের।
জানা যায়, ২০০০ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের প্রভাকরপুর-নন্দীরগাঁও মসজিদ সড়কের নাইয়াদাঁড়া নদীর ওপর এই সেতুটি নির্মাণ𝓀 করে। নদꦅীর প্রবল স্রোতে ২০১৬ সালে সেতুটি ভেঙে যায়। এরপর থেকে এই সড়ক দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আরমান মিয়া, সাকিলসহ স্থানীয় কয়েকজন জানান, এই সেতু দিয়ে উপজেলা সদরসহ ইউনিয়ন পরিষদ, রসুলগঞ্জ বাজার ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। ছোট্ট এই নদীটি এখন পার হওয়ার জন্♌য দেড় কিলোমিটার রাস্তা ঘুরতে হয় স্থানীয়দের। রোগী নিয়ে দ্রুত হাসপ🅘াতালে যাওয়া যায় না। যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে চরম বিপাকে পড়তে হয় এখানকার মানুষদের।
এরালিয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী সাহেলা বেগম বলেন, “সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় এখন গ্রামের ভেতর দিয়ে দেড় কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে বিদ্যালয়ে যেতে 𝓡হয়। আমার মতো অনেক শিক্ষার্থীরাই বাধ্য হয়ে কষ্ট করে স্কুলে যায়। সেতুটি সংস্কার বা নতুন সেতু নির্মাণ করা হলে এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাব।”
পাটলী ইউনিয়নের ব্যবসায়ী জোসেফ মিয়াসহ অনেকেই বলেন, “নদীর ওপাড়ে জেলা শহর ও সিলেট বিভাগীয় শহরে যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। সে𝓡তুটি ভালো থাকা অবস্থায় পাঁচ মিনিটে যেতে পেরেছি। কিন্তু সেতুটি ভেঙে ♉যাওয়ায় পর সেখানে এখন আধঘণ্টারও বেশি সময় হেঁটে যেতে হয়।”
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঙ্গুর মিয়া জানান, সেতুটি সংস্কারের জন্য বিষয়টি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে🐻। আজও এর কোনো সমাধান হচ্ছে না। এখনো কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
জগন্নাথপুর উপজেলা এলজিইডཧির প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, “জনদুর্ভোগ লাগবে দ্রুতই সেতুটি পরিদর্শন করে নতুন সেতু নির্মাণের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে অবগত💎 করব।”