আহা ফুটফুটে মুনতাহা, এমন গোলাপ কলি ফুটতে দিল না দৈত্যের দল বলে মꦏন্তব্য করেছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী এলিনা শাম্মী ।
সম্প্রতি সিলেটের কানাইঘাটের পাঁচ বছরের শিশু মুনতাহারের নিখোঁজের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ছবি শেয়ার করে অনেকেই সন্ধান চান। এমনকি পুরস্কারও ঘোষণা করেন অনেকেই। এমন অবস্থায় নিখোঁজের ৭ দিন পর বাড়ির পাশ থেকে গায়ে মাটিমাখা, গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মুনতাহার লাশ উদ্ধার কꦅরেছে পুলিশ।
এমন হৃদয়বিদারক ঘটনায় ব্যথিত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী এলিনা শাম🏅্মী।
রোববার (১০ নভেম্বর) মুনতাহার একটি ছবি ও অভিযুক্ত তিন খুনির ছবি 🀅শেয়ার করে তার ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন, “এদেরকে কি মানুষ বলা যায়? এতটুকু শিশুকে যারা খুন করে তাদের কীভাবে মানুষ বলি! তাহলে তারা আসলে কী। একজন নারী, যিনি একজন মা, সে কীভাবে এত নিষ্ঠুর হয়।”
অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, 🧜“আহা ফুটফুটে মুনতাহা, এমন📖 গোলাপ কলি ফুটতে দিল না দৈত্যের দল। বেহেশতি ফুল তুমি সেখানেই ফুটে থেকো। তবে দুনিয়াতে তুমি তোমার বাবা-মায়ের কাছে যে দোজখের আগুন ফেলে গেলে সে আগুন কোন সান্ত্বনায় নিভবে জানি না। আল্লাহতায়ালা তাদেরকে ধৈর্য ধারণ করার শক্তি দিন।”
এলিনা শাম্মী বলেন, “এই অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। গায়ের জোরে, নি𝕴জের জিদ তেজ প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে যারা মানুষ খুন করে বা করতে চায়𝄹, তারা মানসিক বিকারগ্রস্ত। তারা হিংস্র। হিংস্র প্রাণী যেমন লোকালয়ে রাখা যায় না, তাদের হয় জঙ্গলে অথবা লোহার সিকের বেষ্টনীতে রাখা হয়, এই মানুষদেরও আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি প্রদান করে আটকে রাখা উচিত। মাথাটা আউলা লাগছে, এই নিউজটা নেওয়া যাচ্ছে না।”
জানা গেছে, সিলেটের কানাইঘাটে সাবেক গৃহশিক্ষিকা, গৃহশিক্ষিকার মা ও নানি মিলেই ♕এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। হত্যার পর মরদেহ প্রথমে মাটিতে পুঁতে ফেলেন তারা, পরে পুকুরে ফেলার সময় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে গৃহশিক্ষিকার মা।
এ🌄 ঘটনায় পুলিশ শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বিবি ও নানি কুতুবজান বিবিকে গ্রেফতার করেছে। সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার কানাইঘাট (সার্কেল) অলক কান্𒆙তি শর্মা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে রোববার (১০ নভেম্বর) ভোরে মাটিতে পুঁতে ফেলা লাশ তুলে মুনতাহার চাচার বাড়ির পুকুরে ফেলার সময় হাতেনাতে গৃহশিক্ষিকার মাকে আটক করেন স্থানীয়রা। এ সময় গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় মুনতাহার লাশ দেখতে পান স্বজনরা।এ ঘটনায় শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বিবি ও নানি ক🧸ুতুবজান বিবিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া আরও সন্দেহভাজন তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে। এ নিয়ে ছয়জনকে আইনের আওতায় আনা হলো।
মুনতাহা আক্তার জেরিন উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল গ্রামে𒅌র ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে। গ্রেফতার তিনজনই মুনতাহার প্রতিবেশী।
সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (কানাইঘাট সার্কেল) বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোববার (৩ নভেম্বর) ভিকটিম মুনতাহা মাগরিবের নামাজের আগে একটি আ🥂পেল খেতে খেতে মার্জিয়ার ঘরে প্রবেশ করে। প্রবেশ করতেই মার্জিয়া ভুক্তভোগী মুনতাহার গলাটিপে ধরে। গলাটিপে ধরার সঙ্গে সঙ্গে সে মারা যায়। মুনতাহার লাশ মার্জিয়া ও তার মা মিলে বাড়ির পেছনের নর্দমার মধ্যে ফেলে দেয়।