পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ও বাঙালিদের সহ𒅌িংসতা ছড়িয়েছে রাঙামাটিতেও। ব্যাপক হামলা, সংঘর্ষ ও ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলা চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে বহু পাহাড়ি বাঙালি।
পাহাড়ের উদ্ভূত এই ﷽পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা সফরে এসেছেন সরকারের তিন উপদেষ্টা। তারা শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হেলিকপ্টার করে ঢাকা থেকে রাঙামাটি সার্কিট হাউজ হেলিপ্যাডে এসে পৌঁছান। পরে সেনানিবাসের প্রান্তিক হলে বৈঠকে যোগ দেন।
উপদেষ্টারা হলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা, স্থানীয় সরকা🍬র পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় ♈মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ।
তারা পাহাড়ের উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মতবিনিময় করবেন। উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকে রয়েছেন সেনাব🌊াহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় নেতারা। রাঙামাটির বৈঠক শেষে উপদেষ্টারা খাগড়াছড়ি উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে গণপিটুনিতে মামুন নামে এক যুবক নিহত হন। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের🎐 শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি লারমা স্♔কয়ারের দিকে যাওয়ার সময় পাহাড়িরা বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
পরে দুই পক্ষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ। একপর্যায়ে লারমা স্কয়ারে দোকানপাট ও বসতবাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে পুড়ে যায় অন্তত ৫০-৬০টি দোকান। এ ঘটღনায় তিনজন নিহত হন। খাগড়াছড়ির সেই উত্তাপ পড়ে ছড়িয়ে পড়ে পাশের জেলা রাঙামাটিতেও। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙামাটির জেলা শহরে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এসময় একজন নিহত হন। দুপুরের দিকে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
এদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রামে এমন সহিংসতার 💟ঘটনায় শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সৃষ্ট সমস্যা ন🌱িরসনে আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর এক ব্যক্তিকে পিটুনি ও পরবর্তী সময়ে তার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলমান হামলা, আক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনায় সরকার গভীরভাবে দুঃখিত এবং ব্যথিত।
সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে এবং পার্বত্য তিন জেলায় বসবাসকারী সব জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে শান্তি, সৌহার্দ্🍬য ও সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।