শরীয়তপুরের জাজিরায় রান্নাঘরে কাজ করার সময় ভয়ংকর রাসেলস ভাইপার সাপে কাটে বৃদ্ধা রহিমা বেগমকে। এরপর স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ওঝার কাছে নিয়ে যা🐟য়। ওঝার ঝাড়ফুঁকের পরে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্ꦺগলবার (৪ জুন) দুপুর𒈔ে উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের ইয়াসিন আকন কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রহিমা বেগম (৬২)𒁃 ওই গ্রামের নূর মোহাম্মদ তালুকদারের স্ত্রী।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার দুপুরে পরিবারের সদস্যদের জন্য খাবার রান্না করছিলেন রহিমা বেগম। এ স🉐ময় তার বাম পায়ে একটি বিষধর সাপ কামড় দেয়। তিনি চিৎকার দিলে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে আজিমউদ্দিন মোড়ল নামের এক স্থানীয় ওঝার কাছে নিয়ে যান। ওঝা ঝাড়ফুঁক করার পরে তার অবস্থা আরও খারাপ হলে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক রহিমা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে রহমান তালুকদার সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “সাপে কামড় দিলে আমরা মাকে স্থানীয় ওঝা আজিমউদ্দিন 🃏মোড়লের কাছে নিয়ে যাই। তিনি ঝাড়ফুঁক দেওয়ার একপর্যায়ে মায়ের শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার মাকে মৃত ঘোষণা করেন। সাপে কামড়ের সাথে সাথেꦫ আমরা যদি মাকে ওঝার কাছে না নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতাম, তাহলে হয়তো আমার মাকে বাঁচাতে পারতাম।”
জাজিরা ꧂উপজဣেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা কবির আলম সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “সাপে কামড়ানো এক বৃদ্ধাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করি। কামড়ের ক্ষতস্থান দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।”
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান সংবাদ 🧜প্রকাশকে বলেন, সাপের কামড়ে বৃদ্ধার মৃত্যুর বিষয়ে অপচিকিৎসা সংক্রান্ত কেউ থানꦦায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।