নওগাঁয় ভালো ফ💫লন ও আশানুরূপ দাম পাওয়ায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মধ্যে। এতে আগামী মৌসুমে এ আবাদের চাষ বাড়ার সম্ভাবনা দেখছে সংশ্লিষ﷽্ট দপ্তর।
কৃষিসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানি-নির্ভরতা কমাতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়ꦫাজ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। বিনা মূল্যে সার, বীজ, পরিচর্যার জন্য অর্থসহায়তা, বালাইনাশকসহ যাবতীয় উপকরণ দেওয়া হয়েছে চাষিদের। ভারতীয় জাতের এ পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষকের আগ্রহ সৃষ্টি হলে দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি অনেকাংশে কমে যাবে।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গ💙্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচির আওত🍷ায় জেলার ১১টি উপজেলার প্রতিটি উপজেলায় ১৫০ জন কৃষকের মধ্যে বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। পরিচর্যার জন্য বিকাশের মাধ্যমে প্রত্যেক কৃষককে দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৮০০ টাকা। এ ছাড়া বালাইনাশক, পলিথিনসহ অন্যান্য উপকরণ পেয়েছেন প্রত্যেক কৃষক।
মান্দা উপজেলার মৈনম গ্রামের কৃষাণী রানী বেগম বলেন, কৃষি অফিসের সহায়তায় চারা উৎপাদনের জন্য বীজতলা তৈরি করেন। প্রতিকূল আবহাওয়ায় চারা তৈরি করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। সেই চারা ১৫ কাটা জমিতে রোপণ করেন। এরই মধ্যে পেঁয়াজে গুটি আসতে শুরু করেছে। বর্তমান🍎ে বাজারদর ভালো আছে।
দেলুয়াবাড়ি গ্রামের কৃষক আমজাদ বলেন, “বিনা মূল্যে বীজ ও সারসহ অন্যান্য উপকরণ পেয়েছি। পরিচর্যার জন্য মোবাইলে ২ হাজার ৮০০ টাকা দেওয়া হয়🌟েছে। ক্ষেতের পেঁয়াজ অনেক সুন্দর হয়েছে। কৃষি দপ্তরের লোকজন 🤡সব সময় পরামর্শ দিচ্ছেন। আশা করছি ভালো ফলন পাব।”
জেলা কৃষি উপপরিচালক আবু হোসেন বলেন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ নাসিক এন-৫৩ জাতটি ভারতীয়। এ জাতের পেঁয়াজের বীজ সরবরাহ ক﷽রেছে বিএডিসি। কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়ায় আবাদ আশানুরূপ ভালো হয়েছে। এরই মধ্যে ক🧜্ষেত থেকে পেঁয়াজ তোলা শুরু করেছেন কৃষকরা। প্রতি বিঘায় ৬৫ থেকে ৭০ মণ ফলন পাওয়া যাচ্ছে। বাজারদরও ভালো রয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় এ আবাদের প্রতি কৃষকের আগ্রহও বাড়ছে।