গত বছর শারদীয় দুর্গোৎসবের সময় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় সারাদেশে আলোচিত হয়ে ওঠে কুমিল্লার নানুয়া দিঘি পাড়🐼ের দর্পণ সংঘের পূজামণ্ডপটি। সব আলোচনা আর চড়াই-উতরাই কাটিয়ে এবারও সেই মণ্ডপে উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত হবে।
নানুয়া দিঘী পাড়ের দর্পণ সংঘ পূজা মণ্ডপেরℱ সভাপতি সুবোধ রায় পূজা উদযাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা এবারও জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। খুব স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য বছরের মতোই এ বছর দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে। অসাম্প্রদায়িক আবহে সবাই উৎসবমুখর পরিবেশেই এখানে দুর্গোৎসবে অংশ নেবেন। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পূজার শুরু থেকেই নানুয়া দিঘি পাড়ে নিরাপত্তা 🎃নিশ্চিত করবেন। এমপি মহোদয় ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।”
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে পূজা প্রস্তুতির শুরু থেকেই মণ্ডপটি ঘিরে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সিসি ক্যামেরায় আওতায় আনা হচ্ছে এলাকাটি। প্রতিমা তৈরির কাজও শেষ পর্যায়ে। ব্যস্ত সময় পারꦺ করছেন কারিগররা।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল পাল বলেন, “নানুয়া দিঘী পাড়ের আলোচিত এই পূজা মণ্ডপে আরও উৎসবমুখর পরিবেশে এবার পূজা উদযাপিত হবে। গেল দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঘটনা যেন আর না ঘটে। আমরা সকলে মিলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন বজায় রেখে চলতে পারি সে প্রত্𝐆যাশা করি।”
কুমিল্লা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শিবু প্রসাদ রায় বলেন, “দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে গত বছর সৃষ্ট ঘটনায় কিছুটা💛 আতঙ্ক থাকলেও এবার সুন্দর পরিবেশে আমরা পূজা উদযাপনের প্রত্যাশা করছি। পাশাপাশি ওই সময়ের ঘটনার সঠিক বিচার প্রত্যাশা করছি। সঠিক বিচার হলে কেউ আর সম্প্রতির পরিবেশ নষ্ট করার সাহস পাবে না।”
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, “নানুয়া দিঘির পাড়ের পূজা মণ্ডপে এবার আরও জাঁকজমকভাবে পূজা হবে। জেলার স𝄹কল পূজা মণ্ডপে সরকারি নির্♈দেশনা অনুযায়ী নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে। মন্দির ও মণ্ডপে প্রশাসনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের স্বেচ্ছাসেবকরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। কুমিল্লায় এবার উৎসব মুখর এবং সুশৃঙ্খল পরিবেশে দুর্গোৎসব পালিত হবে।”
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান⛦, কুমিল্লায় এবার ৭৯৪টি মণ্ডপে পূজা উদযাপিত হবে। মণ্ডপের পরিধি অনুসারেಌ বড় মণ্ডপে ৮ জন, বারোয়ারি মণ্ডপে ৬ জন এবং পারিবারিক পূজা মণ্ডপে ৪ জন করে আনসার সদস্য পূজা চলাকালীন দিনরাত নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির টহল মোতায়েন থাকবে। একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হবে, যেখান থেকে পুরো জেলার পূজার সার্বক্ষণিক খবর নেওয়া হবে।
পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান বলেন, অনলাইꦑন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কেউ যেন উস্কানি ক🃏িংবা গুজব না ছড়াতে পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আগামী বছর থেকেই যেহেতু জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হবে সেই বিবেচনায় স্বাধীনতা বিরোধী চেতনার কেউ যেন রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে ধর্মকে ব্যবহার না করতে পারে সে দিকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
জ🎐েলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি তাপস বকশী বলেন, “আমরা সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আশাবাদী। ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপের তালিকা প্রশাসনকে দেওয়া হবে। আমরা নিজেরাও সচেষ্ট থাকবো যেন মণ্ডপে কোনো উচ্ছৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না হয়।”
গত বছরের ১৩ নভেম্বর শারদীয় দুর্গোৎসবের সময় নানুয়া দিঘির উত্তর পাড়ের এই মণ্ডপে ধর্ম অবমাননার গুজব ছড়িয়ে সেখানে হামলা ও ভাঙচুরে🐭র ঘটনা ঘটে। পরে তা সারা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন মানুষের মৃত্যু হয়।&ꦡnbsp;