জামালপুরে ইজ্জাতুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে জানালার গ্রিল কেটে ৩ লক্ষাধিক টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। এঘটনার বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সাল মꦫো. আতিক।
এর আগে বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতের কোনো এক সময় ইজ্জাতুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান শিক্ষকের কক্ষের পাশের একটি কক্ষের ⛦পেছনের একটি জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে দুর💛্বৃত্তরা।
এসময় ওই কক্ষে🏅র দুটি আলমারি, একটি লকার ও পাশের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে থাকা একটি আলমারি ওไ একটি লকারের সব তালা খুলে তছনছ করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের চারপাশেই প্রাচীর ও বেড়া দিয়ে ঘেরা। রাতে নৈশ্য প্রহরীও থাকে। আগে বিদ্যালয়♐ে এভাবে কখনো চুরির ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া বিদ্যালয়ে এত টাকা অরক্ষিত অবস্থায় রাখাটাও কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা। তাই এই ঘটনাটি অন🍃েকটাই রহস্যজনক।
বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী কাবিল উদ্দিন বলেন, “গতরাতে প্রধান শিক্ষকের কক্🍒ষের পাশের শিক্ষক মিলনায়তন কক্ষে ছিলাম। রাতে কোনো সাড়াশব্দ পাইনি। প্রধান শিক্ষকের কক্ষে যে এত টাকা ছিল সেটাও জানা ছিল না।”
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোꦗ. আনিছুজ্জামান আনিছ বলেন, “সকালে স্কুলের দপ্তর মীর হোসেন কক্ষ🅺ের তালা খুলে সবকিছু তছনছ অবস্থায় দেখে ফোন করে। আমি স্কুলে এসে পুলিশে খবর দিই। লকার থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন ফি, গত চার থেকে পাঁচ দিন ধরে উত্তোলন করা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফি ও সততা স্টোরের জন্য সংরক্ষিত টাকাসহ সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকা চুরি হয়েছে।”
এত টাকা অরক্ষিত রাখার ব্যাপারে জানাতে চাওয়া হলে প্রধান শিক্ষক বলেন, “প্রতিদিন ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া সম্ভব নয়। আজ আরও টাকা আদায় করা হবে, সব মিলিয়ে বৃহ🧸স্পতিবার বিকেলে ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার কথা ছিল। তবে টাকা ছাড়া আর কোনো কিছু খোয়া যায়নি।”
জামালপুর সদর থানার ওসি আবু ফয়সাল মো. আতিক বলেন, “তদন্ত 💯সাপেক্ষে দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করি ঘটনার জড়িতদের দ্রুতই শনাক্ত করতে পারব।”