জয়পুরহাটে মাদ্রাসাছাত্র হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেকের এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদ✤ায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসল🦩াম এ রায় দেন।
এসময় আসামিরা আদালতে উপস্থিতি ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার রশিদপুর আকিয়াপুকুর গ্র🅠ামের ওয়াজে꧋দ আলী আকন্দের ছেলে শামীম, আ. খালেকের ছেলে একরামুল হক মন্ডল ও বিনধারা গ্রামের ফারুক চৌধুরীর ছেলে মাখন চৌধুরী ওরফে আজমির চৌধুরী।
জয়পুরহাট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি শামীমুল ইস🐓লাম শামীম রায়ের বিষয়টি নি▨শ্চিত করেছেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, মোবাইল হারানোকে কন্দ্রে ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর সকাল ১০টায় রশিদপুর গ্রামে আসামিরা মাদ্রাসাছাত্💟র হাসানকে হত্যার চেষ্টাকালে সে দৌড়ে পালিয়ে রক্ষা পায়। এরপর ওই দিন বিকাল ৪টার দিকে আসামিরা পুনরায় হত্যাচেষ্টা চালালে হাসান দৌড়ে ধানক্ষেতে লুকিয়ে পড়ে। সেখান থেকে হাসানকে খুঁজে বের করে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
এরপর হাসান🃏কে গলায় প্যান্ট পেঁচিয়ে ঘরের তিরের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। পরদিন ১০ নভেম্বর সকাল ৬টায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। তবে এ ঘটনায় পাঁচবিবি থানা হত্যা মামলা নেয়নি। পরে নিহতের 𓆏বোন মুনিরা বেগম বাদী হয়ে ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি জয়পুরহাট আদালতে অভিযোগ দেন। বাদীর অভিযোগে ভিত্তিতে পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
প🐟রে মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল আউয়াল ২০১৩ সালের ৩০ জানুয়ার𝓡ি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপ💯িপি শামীমুল ইমাম শামীম। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আফজাল হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন।