কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকা🎃য় গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া কলেজশিক্ষিকা তাহমিনা মুনার (৩২) স্বামী﷽ সুমন সালাউদ্দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
কুমিল্লা জ্যেষ্ঠ বিচার☂িক ১ নম্বর আমলি আদালতে বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক মাজহারুল হক তাকে ꦉকারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন 𒐪কোর্ট ওসি মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, “সকাল ১০টার দিকে সুমন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। এ সময় বিচারক তাকে কারাগারে ꦰপাঠানোর নির্দেশ দেন।”
এর আগে মঙ্গলবার রাত ১টায় স𝓰ুমনের নামে কোতোয়ালি মডেল থা♏নায় মামলা করেন নিহতের ভগ্নিপতি মো. তরিকুল ইসলাম।
এর আগে ৩১ আগস্ট মধ্যরাত🐓ে আগুনে দগ্ধ হন কুমিল্লা মডেল কলেজে প্রভাষক তাহমিনা। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রায় এক সপ্তাহ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মুনার মৃত্যু হয়।
তার মৃত্যুর পর স্বামী সুমন জানান, সেদিন রাত ১টায় চুলায় আগুন জ্বালাতে গিয়ে কেরোসিনের বোতল গায়ে পড়ে অগ্নিদগ্ধ হন মℱুনা। কিন্তু তাহমিনার স্বজনরা দ൩াবি করেন, সুমন পরিকল্পিতভাবে মুনাকে হত্যা করেছেন।
সেই রাতের ঘটনা নিয়ে সুমন ཧযেসব বক্তব্য দিয়েছিলেন, তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে প্রতিবেশীর বক্তব্যে, যিনি আগুন লাগার পর এই নারীকে হা💎সপাতালে নিতে চেয়েছিলেন।
মুনার মৃত্যুর পর সুমন হাসপাতাল থেকে কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে যান বলে জানান মুনার বড় বোন মাসুমা বেগম। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে ছাড়াই হাসপাতাল থেকে মরদেহ🅘 নিয়ে আসে। এরপর মুনার জানাজায় হাজির হলেও জানাজার পর সুমন দ্রুত চলে যান। গত দুই দিন পলাতক থাকার পর বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।