বৈরী আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে লিচুতে। মৌসুমের শুরুতে গ🍰াছভর্তি মুকুলে ছেয়ে গেলেও গরমের কারণে ছোট ছোট লিচু ঝরে পড়ে। এ ছাড়া গাছে গাছে ফেটে যাচ্ছে লিচু। ফলে লোকসানের আশঙ্কায় দিশেহারা পড়েছেন লিচুর রাজ্য খ্যাত দিনাজপুরের লিচু চাষি ও বাগানিরা।
বোম্বাই জাতের লিচুর অবস্থা ভালো ꩲথജাকলেও বেদেনা, মাদ্রাজি, চায়না থ্রি ও কাঠালি জাতের লিচু অর্ধেকও নেই। ভালো ফলন পেতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান চাষিরা।
সরেজমিনে বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দ🌼েখা গেছে, অনেক লি𒐪চু গাছেই ফেটে যেতে শুরু করেছে। পাশাপাশি লিচুর ওপরের আবরণেও বাদামি রঙের পোড়া দাগ দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া লিচুর থোকায় অধিকাংশ আকৃতি ছোট দেখা যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণের সূত্রমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৫ হাজার ৭৮৭ হেক্টর জমি লিচু চাষের পরিমাণ হিসেবে ধরা হয়েছে। এর আগে গত বছর লিচু চ𝄹াষের জমির পরিমাণ ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৮৯৪ হেক্টর। এ বছর লিচুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩২ হাজার মেট্রিক টন।
জানা যায়, জেলার সদর, বিরল, চিরিরবন্দর, খানসামায় ব্যাপক পরিমাণে লিচু উৎপাদন হয়। আর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে এই জেলার লিচু বাজারে আসতে শুরু করবে। এর আগেই লিচুর এমন সমস্যা নিয়ে লꦯোকসানের শঙ্কায় পড়েছেন চাষি ও বাগানিরা।
চাষিরা বলছেন, মৌসুম শুরুর সময় থেকে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় লিচুর দানা ছোট হয়েছে। দাবদাহের কারণে লিচুর ওপরের আবরণে পোড়া বাদামি দাগ এসেছে। এ ছ⭕াড়া বর্তমানে হালকা বৃষ্টির পরশ পাওয়ায় লিচু বড় হতে শুরু করেছে। যার ফলে লিচু ফেঁটে যাচ্ছে।
যদিও এ ক্ষেত্রে কৃষি সম্প্রসারণের দাবি, দপ্তরের দায়িত্বশীলরা সর্ব🔯দাই চাষি ও বাগ🦩ানিদের পরামর্শ দিয়ে আসছে।
লিচুর বাগানি রবিন বলেন, “গত কয়েক দিনে প্রচুর রোদ গেছে, ফলে অনেক লিচু আবার ঝরে পড়েছে। যেসব লিচু দেখা যাচ্ছে সেটিও পুড়ে যাচ্ছে। এসব লিচু তো বাজারে বিক্রি হয় না। এখন কি করব বুঝছি না। এ বছর লিচুর গুটি ভালো এসেছিল। কিন্তু যেভাবে ঝরছে তাতে ꦚলোকসান হবে।”
লিচুবাগানি মিঠুনꦚ রায় বলেন, “আশেপাশের অনেক লিচু ফেটে যাচ্ছে। অনেক লোকসান হবে। এই লিচু ভালো রাখতে প্রচুর খরচ হচ্ছে।”
লিচুবাগানি রুবেল বলেন, “এ বছর লিচুর দানা ছোট। দাম আগের মত🐭ো পাওয়া যাবে না। এই লিচু বেশি দামে বিক্রিও হবে না। লাভ হবে না। ছোট দানা লিচু কেউ বেশি দামে কিনতে চায় না। বাজারে লিচু উঠতে আর ১꧅৫ থেকে ২০ দিন লাগবে।”
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উඣপপরিচালক নুরুজ্জামান বলেন, “এ বছর লিচুর ফলন পর্যাপ্ত রয়েছে। ফলে খুব বেশি লোকসান হবে না। তাছাড়া আমাদের মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছে। কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে। আমাদের কৃষকরা সচেতন তারা লিচুর পরিচর্যা করছে।”