দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে গ্রামে গ্রামে বই বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন লো꧑কমান হোসেন। বই ফেরি করে বিক্রিই তার একমাত্র পেশা। এতেই চলছে তার 🧜সংসার।
লোকমান হোসেন নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্💜জ ইউনিয়নের আমরুল কসবা (পূর্বপাড়া) গ্রামের মৃত রমজান হোসেনের ছেলে।
উপজেলা রেলগেট এলাকায় এক দোকান মালিকের কাছে একটি বই বিক্রি করছেন লোকমান হোসেন। সেখানেই কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর সংসারে অভাব অনটনের কারণে আর পড়ালেখা সম্ভব হয়নি। নব্বই দশকের শেষের দিকে তিন𝔉ি পায়ে হেঁটে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বই বিক্রি করতে শুরু করেন। পরে যুগের বাইসাইকেলে চড়ে বিভিন্ন ধরনওের বই বিক্রি করছেন।
ল⛦োকমান হোসেন নওগাঁর আত্রাই, রাণীনগর, রাজশাহীর বাগমারা, নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার ৫০-৬০টি গ্রাম𒅌ে গিয়ে বই বিক্রি করেন।
বই বিক্রি ছাড়া আয়ের আর কোনো উৎস নেই তার। ত🌱িনি কোরআন, হাদিসের বই, ছোটদের গল্পের বই, উপন্যাস, নামাজ শিক্ষা বইসহ বিভিন্ন ধরনের বই বিক্রি করেন।
বই💜 ক্রেতা জাফর ইকবাল বলেন, “আমি তার কাছে থেকে অনেক বই কিনেছি। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বই বিক্রি করে🃏 আসছেন।”
লোকমান হোসেনের সাংসারিক জীবনে দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। এই বই বিক্রির উপার্জিত অর্থ দিয়েই সন্তানꦫদের মানুষ করেছেন তিনি। এখন ছেলে বিয়ে করে আলাদা সংসার করছেন। মেয়েদেরওꦫ বিয়ে দিয়েছেন। তবে এক মেয়ে এখনো বাবার সঙ্গেই থাকেন।
লোকমান হোসেন জানান, আগে প্রতিদিন অনেক বই বিক্রি করতেন। এখন আর বেশি বই বিক্রি হয় না। ফলে তার আয় কমে গেছে। এখন কোনো দিন ১০꧒০০, আবার কোনো দিন ৫০০ টাকার বই বিক্রি হয়। আগে প্রতিদিন লাভ হতো ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। এখন তা কমে গেছে।