কক্সবাজারে উღখিয়ার তানজিমারখোলা আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-১৩) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৭৫টি রোহিঙ্গা বসতিসহ অন্তত ২৩০টি অবকাঠামো পুড়⛦ে গেছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন অন্তত ১ হাজার ২০০ রোহিঙ্গা।
শনিবার (১ জুন) বেলা একটার দিকে আশ্রয়শি🐻বিরের ডি-১ ব্লকের কাঁঠালতলী বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তে তা পাশের ডি-২ ব্লকে ছড়িয়ে পড়েཧ।
পরে বেলা আড়াইটার দিকে ফায়ার সার্ভি🐼স, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), বিজিবি সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয়ের তথ্যমতে, আগুনে আশ্রয়শিবিরের 🍌ডি-১ ও ডি-২ ব্লকের ১৭৫টি রোহিঙ্গার ঘর, ৫০টি শেল্টার হাউস, ১টি লার্নিং সেন্টার, ১টি মক্তব, ৩০টি ল্যাট্রিন, ৪০টি দোকানসহ মোট ২৩০টি অবকাঠামো পুড়ে গেছেܫ। তাতে ১ হাজার ২০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন। এর মধ্যে আশ্রয়শিবিরের অভ্যন্তরে বসবাসকারী বাংলাদেশি পাঁচটি পরিবারের ঘরও পুড়ে গেছে।
আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ এপিবিএন অধিনায়ক ও পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি মো. আমির জাফর বলেন, শনিবার দুপুরে আশ্রয়শিবিরের ꦆ(ক্যাম্প-১৩) কাঁঠালতলী বাজারে হঠাৎ আগুন জ্বলে ওঠে। মুহূর্তেই আগুন আশপাশের রোহিঙ্গা বসতিতে ছড়িয়ে পড়ে। বাজারের একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হলেও এটি নাশকতা কি না, তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
আরআরআরসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, মিয়ানমারের একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধের জের ধরে অতীতেও আশ্রয়শিবিরে অনেকবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবারের অগ্নিকাণ্ড নাশকতা হতে পারে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ও গৃহহীনদের মাথা গোঁজা💞র ঠাঁই করে দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের অনেকে আশ্রয়শিবিরে আত্মীয়স্বজনের ঘরে উঠেছে।