চাঁদপুরের ফরিদগℱঞ্জে আলাদাভাবে ২ কিশোর আত্মহত্যা করেছে। এদের একজন গলায় ফাঁস দিয়ে অন্যজন কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেন।
শনিবার (🥂৯ নভেম্বর) সকালে থানা পুলিশ ২🌜 জনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
এর আগে, শুক্রবার রাতে আত্মহননের এমন ঘটনা ঘ༒টে উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের শোল্লা𓃲 গ্রামে।
এদ💝ের একজন ফাহিম (১৬)। রাজধানী ঢাকায় একটি কনফেকশনꦕারিতে চাকরি করতো।
তার মা ফাতেমা বেগম জানান, স্বামী রফিকুল ইসলামের মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরতে ছেলে ফাহিমকে ঢাকায় পাঠান।ꦇ সেখানে কাজের ফাঁকে বরিশালের এক মেয়ের সঙ্গে পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক হয়। ওই মেয়েকে বিয়ে করার জন্য ছেলে তাকে চাপ সৃষ্𒁏টি করে। এতে ছেলেকে বকাঝকা দেন তিনি।
স্বজনরা জানান, শু𒊎ক্রবার ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে ফাহিম তার মাকে জানায়, ওই মেয়েকে বিয়ে করবে সে। এতে ফাতেমা বেগম ছেলেকে বলেন, এখনো বিয়ের বয়স হয়নি তোমার। আরও কিছু দিন অপেক্ষা করো। এতে ফাহিম মেজাজ হারিয়ে ধানের পোকা দমনের কীটনাশক পান করে। পরে তাকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অপর ঘটনা ঘটে একই গ্🐭রামে। মোতালেব সর্দারের ছেলে রেদোয়ান হোসেন (১৭) তাদের টিনের ঘর🧸ে আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। তবে তার মৃত্যুর কারণ এখন পর্যন্ত পুরোপুরি জানা না গেলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কলেজছাত্র রেদোয়ান প্রেমঘটিত কারণেই গলায় ফাঁস দিয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হানিফ সরকার ꧅জানান, শুক্রবার রাতেই পুলিশ ২টি মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে এবং শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় পৃথকভাবে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।