প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে আবারও ইলিশ মাছ ধরা 🐲শুরু হয়েছে। জাল নৌকা নিয়ে রাতে নদীতে মাছ শিকারের উৎসবে মেতেছেন জেলেরা। সরগরম হয়ে উঠেছে আড়তগুলো।
গভীর সাগরে যাওয়া জেলেরা এখনো ঘাটে না ফিরলেও জেলার বিভিন্ন নদী ও কুয়াকাটা🍃 সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের কাছাক🐻াছি এলাকায় মাছ শিকারে যাওয়া জেলেরা ফিরেছেন তীরে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ জেলের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এতে হাসি ফুটেছে জেলেদের মুখে। প্রথমদিন যে পরিমাণ ইলিশ পাচ্ছেন তা নিয়ে সন্তুষ্ট জেলেরা। অনেকেই স্বপ্ন দেখছেন ঘুরে দাঁড়ানোর।
জেলে, পাইকার ও আড়তদারদের হাক ডাকে মুখরিত মাছের ঘাট। জেলেদের যেন বসে থাকার সময় নেই। তারা জা🍌ল, ট্রলার♑ ও নৌকা নিয়ে ছুটছেন নদীতে।
ভোলা সদরের তুলাতলী মৎস্যঘাটে গিয়ে দেখা যায়, আড়তে আড়তে জেলেদের ব্যস্ততা। কেউ মাছ নিয়ে ফ✅িরছেন ঘাটে। কেউ ছুটছেন নদীতে। জেলে, পাইকার ও আড়তদারদের এমন ব্যস্ততা ভোলার উপকূলের মৎস্যঘাটগুলোতে।
জেলে𓆏 শাহজাহান গাজী ও আহছান উল্লাহ বলেন, “এতদিন বেকার ছিলাম। অবশেষে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় নদীতে নেমেছি। ৬ হাজার টাকার ইলিশ পেয়েছি। প্রথমদিন হিসেবে আඣরও বেশি মাছ পাওয়ার কথা থাকলেও তুলনামূলক কম।”
একই কথা জানালেন সাহাবুদ্দিন, রতন ও মফিজসহ অন্যান্য জেলেরা। ত🐠ারা বলেন, “বিগত বছর আমরা দেখেছি, নিষেধাজ্ঞার পর ভালো মাছ পাওয়া যেত, কিন্তু এবার এক💛টু কমেছে।”
আড়তদার মনির ও সাহাবুদ্দিন বলেন, “আগামী দিনগুলোඣতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা না পারলে, লোকসানের মুখে পড়তে হবে। সংকটে পড়বেন জেলেরাও।”
এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, “আগামীদিনগꦯুলোতে ইলিশের পরিমাণ বাড়বে। তখন আরও বেশি মাছ পাওয়া যাবে। এ বছর ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন। আশা করি সেটি পূরণ হবে।”
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর থ✤েকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য দেশের কয়েকটি নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ, বিক্রি ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার।