ভয়ংকর রূপ ধারণ করা ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব পড়েছে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায়। টানা বর্ষণ🌺 ও জোয়ারে পানিতে পﷺ্লাবিত হয়েছে নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৯ ওয়ার্ডের ৫০ হাজার মানুষ।
রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে শুরু হওয়া জোয়ারে নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। হাতিয়ার চারপাশে নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১০ ফুট প🌼ানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, স🌟কাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া টানা বর্ষণ, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে পুরো নিঝুমদ্বীপ প্লাবিত হয়েছে। ফলে এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে বাড়িগুলোতে। বেড়িবাঁধ না থাকায় সহজেই জোয়ারের পানি ঢুকে প্লা🦩বিত হয় নিঝুম দ্বীপ।
স্থানীয় বাসিন্দা ইউনুস আলী বলেন, বন্দর কিল্লা, নামার বাজার, ইসলামপুর ও মোল্লা গ্রামসহ প꧃ুরো নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। পানিতে ভেসে গেছে গবাদিপশুর খাদ্য ও মাছের ঘের। তলিয়ে গেছে শাকসবজিসহ নানা ফসলের জমি।
নিঝুমদ্বীপ ইউনি⛄য়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কেফায়েত হোসেন বলেন, “অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে মেঘনার পানি দ্রুত বাড়ছে। বেড়িবাঁধ না থাকায় নিঝুমদ্বীপের সব তলি🌠য়ে গেছে। আমার বিভিন্ন কৃষি জমিসহ লাখ লাখ টাকার ফসল তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে গেছে পুরো ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ।”
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. দিনাজ উদ্দিন বলেন, “নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ নেই তাই সকাল থেকে এখানে জোয়ারের ﷽পানি উঠেছে। বিকেলেও জোয়ার কেবল বাড়ছেই। মানুষ পানিবন্দির পাশাপাশি সুপেয় পানির সংকটে পড়েছে। রাস্তাঘাট সব তলিয়ে গেছে। সব মিলিয়ে নিঝুমদ্বীপের সকল ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।”
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশিষ চাকমা বলেন, “জোয়ার এখনো চলমান আছে। আমরা এই মুহূর্তে ক্ষতির পরিমাণ বলতে পারছি না। নি🔴ঝুমদ্বীপের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বল﷽েছি। আমরা খোঁজ রাখছি। কোথাও কোনো ক্ষতি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”