বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাব♔ে তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে বরগুনার নিম্নাঞ্চল। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
রোববার (৬ আগস্ট) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো)🌟 পানি পরিমাপক আবহাওয়ꦏা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মাহাতাব হোসেন।
উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পায়রাসহ সব সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতরꦿ্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, শনিবার (৫ আগস্ট) খাকদোন নদীর পানি ও৩৪ সেন্টিমিটার এবং বিষখালী নদীর পানি ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফসলের মাঠ ও মাছের ঘেরসহ সব মিলিয়ে এমন বৈরী আবহাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জনজীবন।
বেতাগী উপজেলার তুলাতুলি এলাকার কৃষক মো. আনোয়ার বলেন, “আমি আমনের জন্য দুই একর জমিতে বীজতলা করেছি। বৃষ্টিতে হালচাষ করতে পারি নাই। এখন পানির যে চাপ। জমিতে বীজ সব পইচ্চা নষ্ট হইয়া যাইবে। এখন নতুন কইরা বীজ করারও সময় 🐻নাই।”
তালতলী উপজেলার বড় আম খোলার মো. সাব্বির হাওলাদার বলেন, “কয়দিন থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। আমার পুকুরসহ এলাকার অনেকের মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। এর꧂পর বৃষ্টি হলে আর মাছ ঘেরে বা পুকুরে রাখা সম্ভব হবে না।”
পতাকাটা ইউনিয়নের রিকশা চালক মো. 🐠জাহাঙ্গীর বলেন, “কয়দিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টিতে গাড়ি চালাতে পারি নাই। এখন প๊রিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।”
বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা♈ চৌধুরী বলেন, “কোনো দুর্যোগের সত🍰র্ক সংকেত পেলেই গভীর বঙ্গোপসাগরে জেলেদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে জেলেরা তীরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।”
জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মাহাতাব হোসেন বলেন,𝕴 “নিম্নচাপের প্রভাবে বরগুনার প্রধান তিন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে পাথরঘাটা পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার, বরগুনা পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি প্রবাহ কয়েকদিন এমন থাকবে।”
এ বিষয়ে পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, “এ বৃষ্টি আরও ৭২ཧ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। বরগুনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।”