কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের বিভিন্ন পরিমাণের অর্থদণ্ডও করা হয়েছ🐻ে।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির✅্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মো. হাবিবুল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তারা হলেন জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়🧔া এলাকার হেনা আক্তারের স্বামী খোকন মিয়া (৩৭), তার বোন জরিনা খাতুন (৩৯) ও তার আত্মীয় জালাল মিয়া (৪৩)। খোকন মিয়াকে ৫০ হাজার, জালাল মিয়াকে ৩০ হাজার ও জরিনা খাতুনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো.🌺 আ✃ফজাল হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহার স💧ূত্রে জানা গেছে, ১৬ বছর আগে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের খৈলাকুরী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে হেনা আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের বন্ধগোমরা এলাকার বাসিন্দা ইমান আলীর ছেলে খোকনের।
বিয়ের পর 🌊থেকেই হেনার ওপর স্বামী খোকনসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি෴ করে আসছিল। বোনের সুখের কথা চিন্তা করে তাকে একটি দোচালা টিনের ঘর তৈরি করে দেন ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম। এছাড়া বোন জামাই খোকনকে ব্যবসার জন্য ৪০ হাজার টাকা দেন। কিছু দিন পর আবারও যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করে তারা।
এ সময় হেনা অস্বীকৃতি জানালে ২০꧋১৫ সা☂লের ৪ অক্টোবর রাতে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন আসামিরা। এ ঘটনায় পরের দিন রাতে হেনার ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা করিমগঞ্জ থানা🃏র তৎকালীন উপ-পরি🐽দর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালতের বিচারক।