সিলেটে চা 💧শ্রমিকদের আন্দোলনে বেহাল চা শিল্প। দৈনিক মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে টানা ১৬ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। প্রশাসনের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেও কোনো♒ সুরাহা না হওয়ায় বাগানগুলোতে চা উত্তোলনসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (২৪ আগস্ট) শ্রমিকরা বিভিন্ন বাগানে সভা, সমাবেশ, মানববন্ধনসহ ধর্মঘট পালন করেছেন। শ্রমিকরা জানিয়েছ꧟েন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি শ্রমিকদের আশ্বাস দিলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে। তা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।
এদিকে চা শ্রমিকদের আন্দোলনে এবার যুক্ত হয়েছে তাদের স্꧟কুল পড়ুয়া সন্তানরা। বুধবার সকালে মালনীছড়া চা-বাগানে শ্রমিকদের সন্তানরা আন্দোলনে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। এ সময় তারা ‘৩০০ টাকা মজুরি দাও, নইলে বিষ দা💦ও’, ‘বাঁচার মতো বাঁচতে চাই, ৩০০ টাকা মজুরি চাই’, এমন বেশ কিছু স্লোগান দেয়।
বুধবারꦚ পূর্ণদিবস ধর্মঘটের ১৬তম দিনে সিলেটের বিভিন্ন বাগান ঘুরে দেখা গেছে চা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। বাগানের বিভিন্ন স্থানে দলে দল🌱ে ভাগ হয়ে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা।
এর আগে মঙ্গলবার চা শ্রম♌িক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা। তাদের সঙ্গে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে একমত পোষণ করেন ইউনিয়নের নেতারাও।
দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে আন্দোলন শুরু করেন চা শ্রমিকরা। ৯-১১ আগস্ট পর্যন্ত দৈনিক দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন তারা। পরে ১১ আগস্ট স🌜ন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে কর্মকর্তারা বৈঠকে বসলেও আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। এরপর ১৩ আগস্ট থেকে টানা ধর্মঘটের ডাক দেন শ্রমিকরা। এর মধ্যে দফায় দফায় সভা ও বৈঠক হয়েছে। একটি বৈঠকে মজুরি ১২০ থেকে বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরে সেটিও প্রত্যাখান করেন শ্রমিকরা। এরপর নানা নাটকীয়তার পর ফের পূর্বের ১২০ টাকা মজুরিতে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পরদিন শ্রমিকদের একাংশ কাজে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এ সিদ্ধান্তও না মেনে শ্রমিকরা ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন।