নরম রোদ আর শিশুর ভেজা ঘাসের দেখা পাওয়া যায় একমাত্র শীতকালেই। ভ্রমণের আদর্শ সময় শীতকাল। তখন প্রকৃতি নতুন রূপে ধরা🍷 দেয়। এরকম শীতের সকালে ভ্রমণ যেমন অন্যরকম আনন্দ দেয় তেমনি অভিজ্ঞতা দিয়েও সমৃদ্ধ করে। আর তাইতো অনেকেই শীতের সকালে বেরিয়ে পড়ে ভ্রমণে।
- শীতের সকালে বাইরে বের হলে শীতল বাতাস ও সূর্যের প্রথম আলো মস্তিষ্কে ডোপামিন নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়, যা মনকে সতেজ রাখে। এতে মন হয়ে উঠে চাঙ্গা।
- বেঁচে থাকার জন্য বিশুদ্ধ অক্সিজেন অপরিহার্য। সেই বিশুদ্ধ অক্সিজেন পাওয়া সম্ভব ভোরের আবহাওয়ায়। ভোরের পরিবেশ থাকে বায়ু ও শব্দদূষণমুক্ত। যার কারণে সহজেই গাছপালা থেকে মুক্ত অক্সিজেন গ্রহণ করা যায়।
- রোদ ভিটামিন ডি-র ভালো উৎস। তবে যেহেতু শীতে রোদের তীব্রতা কম থাকে তাই এসময় ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হয়। তাই এসময় যদি সকালে ভ্রমণে যান এবং হালকা হাঁটা হাঁটি করেন তাহলে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণ হয় এবং রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। এতে হার্টও সুস্থ থাকে।
- গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যায় মানুষ। সেই তুলনায় শীতে মানুষের মধ্যে ক্লান্তি কম। তাই এসময় বেশি সময় ধরে হাঁটা বা দৌড়ানো যায়। এতে ক্যালোরি বেশি খরচ হয় এবং ওজন কমে।
- যত ভোরে বের হবেন ততই বিশুদ্ধ বাতাস ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। এতে মানসিক ভাবে ভালো থাকা সম্ভব। শরীর ও মন ভালো থাকলে চিন্তা-ভাবনায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। যার ফলে মনোবল বাড়বে। সব কাজে কর্মে সফলতা আসবে।
- অনেকেই আছেন অল্প ঠান্ডা বা কুয়াশা পড়লেই সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয়। যদি আপনি শীতের ভোরে ভ্রমণে বের হন তাতে আপনার কুয়াশা ও শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার শক্তি তৈরি হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।