উঁচু জায়গা দিয়ে হাঁটতে একটা ভয় কাজ করে তাই না? উঁচু দেয়ালের ওপর দিয়ে হাঁটার সময়,🔯 বান্দরবানে চাঁদের গাড়িতে চড়ার সময় কিংবা বিমানে করে উড়তে থাকার সময় আমরা সাধারণত এই ভয়টা পেয়ে থাকি। ইংরেজিতে এই ভয়কে বলা হয় অ্যাক্রোফোবিয়া। জীবনে একবার না একবার আমরা এই ভয় অনুভব করি। তবে একবার ভাবুন তো পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু রাস্তা দিয়ে হাঁটতে কেমন লাগবে? সেই রাস্তা আবার ১৯ হাজার ৩০০ ফুট উঁচুতে।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আমাদের প্রিয় ঢাকার উচ্চতা ১০৫ ফুট, চট্টগ্রাম ৯৫ ফুট আর বান্দরবানের পাহাড় বেয়ে ওঠা রাস্তাগুলো প্রায় ৩ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে ১৯ হাজার ৩০০ ফুট কত উঁচুতে। এই রাস্তাটির অবস্থান ভারতের লাদাখে। প্রচণ্ড ঠাণ্𝐆ডা আর প্রতিকূল ভূখণ্ডে ৫২ কিলোমিটারের এই রাস্তা তৈরি করেছে ভারতের বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন।
পিচ ঢালা এই রাস্তায় চলবে গাড়িও। ফলে পূর্ণাঙ্গ রাস্তা হিসেবে পৃথিবীর সর্বোচ্চ রাস্তার খ্যাতি পেয়েছে এটি। সেই সাথে রাস্তাটির⛦ কিছু তুলনা করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের সাথেও। তবে ভয়ের কারণ নেই, রাস্তা যতেষ্ট প্রশস্ত এ🅰বং নিরাপদ!
মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা প্রায় ২৯ হাজার ফুট। তবে এই পর্বতের সর্বোচ্চ উচ্চতায় যে বেইজ ক্যাম্🍬প আছে, সেটির উচ্চতা ১৭ হাজার ৫৯৮ ফুট। এই বেজ ক্যাম্পটির অবস্থান নেপালে। পাহাড়ে চড়ার সময় এভারেꦚস্টের বেজ ক্যাম্পগুলো ক্যাম্পিংয়ের জন্য ব্যবহার করেন পর্বতারোহীরা।
১৯ হাজার ৩০০ ফুট 🔯উঁচুতে এই রাস্তা তৈরি করে বলিভিয়ার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ভারত। বলিভিয়ার সেই রাস্তাটি ১৮ হাজার ৯৫৩ ফুট উঁচুতে অবস্থিত।
তবে এত উচ্চতায় রাস্তাটি বানাতে বেগ পোহাতে হয়েছে বেশ। ঠাণ্ডা আর বিরূপ আবহাওয়া তো আছꦑেই, পাশাপাশি সেখানকার অক্সিজেন লেভেল স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ কম। এই কর্মযজ্ঞ শেষ করার কৃতিত্ব পেয়েছেন রাসไ্তাটি নির্মাণে নিয়োজিত সকল ত্যাগী ও কর্মঠ শ্রমিক ও কর্মচারীগণ।
কর্তৃপক্ষ এই রাস্তাটিকে শুধু পর্যটক আকর্ষণের জন্য বানায়নি। বরং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর চলাফেরা ও ব্যবসা-বাণিজ্য 𒉰সহজ করার জন্যই রাস্তাটি বানানো হয়েছে। এই রাস্তার মাধ্যমে সেখানকার অর্থনীতি আরও বেগবান হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন সবাই। ফলে উন্নত হবে সেখানকার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি🌺।