ভ্রমণ প্রিয় মানুষেরা একদিনের বেশি ছুটি পেলেই ঘুরে বেড়াতে যায়। নানান রকম পরিকল্পনা করে। আর দেশে এখন এই মানুষের সংখ্যাটা অনেক। দেশের যেসব জনপ্রিয় জায়গা গুলো আছে এরই মধ্যে হয়ত বেশিরভাগই দেখা হয়ে গেছে। তাই আপনি খুঁজেছেন নতুন কোন জায়গা যেটার নাম এখনো মানুষ খুব একটা𓂃 চেনে না। একটু নিরিবিল জায়গা যেখানে গেলে স্বাদ পাবেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক নিদর্শনের। আজকে আপনাদের এরকমই দুটি জায়গার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব।
কটকা সমুদ্র সৈকত
সুন্দরবন দেখার আকাঙ্খা অনেকের। এই বনের রহস্য বনের পশু আকর্ষণ করে পর্যটকদের। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে বনের ভেতরে যাওয়া সম্ভব হয় না কারও। যার ফলে অদেখা রয়ে যায় বন। অদেখা রয়ে যায় বনের রাজা রয়েল বেঙ্গল টাইগারকেও। তবে বাঘ দেখা ও নিরাপদে থাকা- এ দুই-ই সম্ভব সুন্💛দরবনের চমৎকার পর্যটন কেন্দ্র কটকা অভয়ারণ্য থেকে। এছাড়াও এখান থেকে দেখা মিলবে হরিণ সহ বিভিন্ন জাতের পাখি, শান্ত প্রকৃতি এবং বিভিন্ন বন্য প্রাণী। তাছাড়া সুন্দরবনের সৌন্দর্য নি:সন্দেহে আকর্ষণ করবে আপনাকে।
স্থানীয়দের কাছে কটকা সমুদ্র সৈকতটি জামতলা সমুদ্র সৈকত নামে পরিচিত। এই সৈকতের বেলাভূমিতে দেখা ম⛦িলে কাঁকড়াদের শিল্প কর্ম। কটকার ওয়াচ টাওয়ারটি চারতলা বিশিষ্ট। ৪০ ফুট উচ্চ টাওয়ার থেকে উপভোগ করা যায় সুন্দরবনের অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য।
কটকা যেতে চাইলে আপনাকে প্রথমেই যেতে হবে সুন্দরবন অঞ্চলে (খুলꦆনা, বাগেরহাটের মংলা)। খুলনা থেকে রুপসা বা বাগেরহাটের মংলা বন্দর থেকে সুন্দরবন যাওয়ার লঞ্চ পাবেন। কটকায় বেড়াতে যাবার পꦏ্রধান মাধ্যম বলতে গেলে শুধুই লঞ্চ। আর পর্যটকদের নিয়ে এই লঞ্চ নোঙ্গর করা হয় কটকা খালে।
তাছাড়াও বর্তমানে ছোট-বড় শতাধিক ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান সুন্দরবনে পর্যটন ব্যবসায় ন༒িয়োজিত। যেকোনো ভাল ট্যুর কোম্পানির সাথে চুক্তি করে সুন্দরবনে যাওয়া যায়। সুন্দরবনে যাওয়ার পর ট্যুর কোম্পানির লোকদের সহায়তায় যেতে পারবেন কটকাতয়া।
গাঙ্গুটিয়া জমিদারবাড়ি
ঢাকা থেকে একটু দূরেই ১৬০ বছরের পুরোনো বাড়ি গাঙ্গুটিয়া জমিদারবাড়ি। ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের গাংগুটিয়া গ্রামে এই বাড়িটির অবস্থান।💎 ধামরাই সদর থেকে ১৫ কিলোমিটারের মতো পথ পারি দিলে দেখা মিলবে বারবাড়িয়া এলাকার। ইটের রাস্তা দিয়ে আরও কিছুদূর এগুলো পাওয়া যাবে গাঙ্গুটিয়া জমিদারবাড়ির।
১২৭০ বঙ্গাব্দ তৎকালীন জমিদার গোবিন্দ চন্দ্র রায় এ ভবন নির্মাণ করেন। গোবিন্দচন্দ্র রায়ের ছয় ছেলে এক মেয়ে ছিল। ছয় ছেলের জন্য ছয়টি ভিন্ন ভবন নির্মাণ করেন গোবিন্দচন্দ্র। এই বাড়ির বয়স ১৬০ বছরের মতো। ইট,বালু, চুন ও সুরকি দিয়ে নির্মিত জমিদার বাড়িটি কালের সাক্ষী হিসাবে হাজারো ঐতিহ্য বুকে ধারন করে এখনো দাঁড়িয়ে আছে। এখন এ বাড়িতে বসবাস করছে জমিদারের꧅ সপ্তম বংশধর। বাড়িটির জানালা ও দরজাগুলোতে ইউরোপীয় আদলে আয়রনের কারুকাজ। সেসময় জমিদাররা অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য কাচারি ঘর তৈরি করতো। এ বাড়িটিও তার ব্যতিক্রম নয়। মূল প্রাসাদের প্রবেশের পথে আছে বেশ বড় একটি ফটক। প্রবেশ পথে কাচারি ঘর,কাচারি ঘরের উপরে পাথরের একটি বাঘের মধ্যে দুইটি পরি`র মূর্তি বসানো রয়েছে। এ ছাড়া জমিদার বাড়িতে ১টি পুকুর,মন্দির ও ছয় বাড়িতে রয়েছে ছয়টি🎉 কুয়ার দেখা মিলে।
হাতে একদিনের সময় থাকলেই হলো। বেড়িয়ে পড়তে পারেন দেড়শত🐟 ব🎐ছরের বেশি পুরোনো এই বাড়িটি দেখতে।