উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের দাপট দেখানো শুরু হয়েছে। কয়েক দিন ধরে পঞꦇ্চগড়ে তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১৪🐠 ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ঘোরাফেরা করছিল।
শ༒ুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৯টায় দেশের সবচেয়ে উত্তরের এ জেলায় তাপমাত্রা নেমেছে ১১ ডিগ্রির ঘরে। চলতি মৌসুমে দেশের সর্বন🌳িম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেতুঁলিয়ায় ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে সকাল ৬টায় জেলার তাপমাত্র🅺া ১১ দশমিক ৪ ডি⛄গ্রি সেলসিয়াস।
পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের𓆏 ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত কয়েক দিন মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১৪💧 ডিগ্রির মধ্যে রেকর্ড হলেও শুক্রবার সকাল ৬ট🐈ায় তাপমাত্রা আরও কমে হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে।
তবে সকাল থেকে জেলাজুড়ে কুয়াশার দেখা না মিললেও হিমালয়🃏 থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মেলায় শীতের তীব্রতা 🌺কমতে থাকে। তবে বেলা গড়িয়ে বিকাল হতেই আবারও শুরু হয় শীতের তীব্রতা। রাতভর তীব্র শীত অনুভূত হয়। এদিকে পাথরশ্রমিক, দিনমজুর, চা-শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষ জীবিকার তাগিদে গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে বের হয়েছে।
সদর উপজেলার কৃষক শহিদুল ইসলা𒀰ম বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে সকালবেলা সবজি ক্ষেতে সবজি তুলতে গেলে শীতের ফোটা খুবই ঠান্ডা লাগে। মনে হয় হাত কেটে যাচ্ছে। তবে দিনের বেলা মোটামুটি রোদ থাকায় কাজ করতে তেমন অসুবিধা হয় না।’
বোদা উপজেলার দিনমজুর সঞ্চয় কুমার রায় বলেন, ‘প্রতিদিন সকালবেলা কাজের উদ্দেশ্যে বের হই। আ♌জ সকাল থেকে খুব ঠান্ডা করছে। তাই গরম কাপড় গায়ে জড়িয়ে বের হয়েছি। সাইকেল চালিয়ে কাজে যেতে হাতে পায়ে ෴খুব ঠান্ডা লাগছে।’
তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় আরও জানা🉐ন, উত্তরের এ জেলায় পুরোদমে শীত এখনও জেঁকে বসেনি। তবে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শীতের তীব্রতা💟 আরও বাড়তে পারে।