বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা বেশ কঠিন। কারণ, দলেরই থাকে না ধারাবহিকতা। গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের তিন ফরম্যাটে অধিনায়কের দায়িত্ব পান নাজমুল হোসেন শান্ত। যদিও এরপর থেকে তার ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ভাটা পড়তে শুরু করে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টেও ব্যাট (৭ ও ২৩ রান) হাতে ব্যর্থ হন টাইগার অধিনায়ক। যা তার বিরুদ্ধে চলমান সমালোচনার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দি♏য়েছে। এর﷽ই মাঝে আলোচনা উঠেছে, সব ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন শান্ত।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন শান্ত। মূলত নিজের পারফরম্যান্সে মনোযোগ বাড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তিনি। বিসিবির এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ক্রিকেটভিত্তিক ভা🦩রতীয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলবে ২৯ অক্টোবর থেকে, চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
অবশ্য শান্তর প্রতিভা নিয়ে বরাবরই আশাবাদী ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। বর্তম🧔ানে ওমরাহ পালন করছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। দেশে আসলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি।
শান্ত সরে দাঁড়ালে কে হবেন নতুন অধিনায়ক তা নিয়ে রয়েছে আলোচনা। ধারণা করা হচ্ছে– এবার আর꧃ এক অধিনায়কের ওপর ভরসা করবে না বাংলাদেশ। টেস্ট এবং ওয়ানডে ফরম্যাটের দায়িত্ব পেতে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আর টি-টোয়েন্টির দায়িত𒊎্ব পেতে পারেন তাওহীদ হৃদয়।
এর আগে শান্তকে কেবল এক ফরম্যাটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন সাবেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার। তবে নতুন করে দায়িত্বে আসা ক্রিকেটারের প্রতি সমর্থন জোগানোর অনুরোধ জানান তি🅺নি, ‘এখন এটা শান্তর সঙ্গে হয়েছে, পরবর্তীতে যে আসবে তার ক্ষেত্রেও হবে। এটাই মনে হয় আমাদের সংস্কৃতি যে, অধিনায়ক হলেই তাকে আমরা চাপে ফেলে দেই। শান্তর জন্য তিনটা ফরম্যাট হয়তো কঠিন হতে পারে। কারণ এখন আমরা প্রচুর ক্রিকেট খেলি। তিনটা ফরম্যাট একজনের জন্য চাপ হয়ে যায়। তার পারফরম্যান্সে চাপ পড়তে পারে। সেই চাপ কমানোর জন্য একটা ফরম্যাটে যদি অন্য কাউকে (অধিনায়কত্ব) দেওয়া যায়, সমস্যা তো দেখি না। তবে অন্য যেই অধিনায়ক হোক, তাকে সহযোগিতা করতে হবে।’