• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩০, ১০ রজব ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


সোহানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে তামিমের বরিশালকে হারাল রংপুর


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৫, ০৫:২৬ পিএম
সোহানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে তামিমের বরিশালকে হারাল রংপুর
নুরুল হাসান সোহান। ছবি : সংগৃহীত

অসাধারণ টি-টেয়েন্টি ব্যাটিং। রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে তার দল ৩ উইকেটের নাটকীয় জয় পেয়েছেไ। 

বৃহস্𝄹পতিবার সিলেটে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আকর্ষণীয়ি এই ম্যাচে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশালের ৫ উইকেটে ১৯৭ রানের জবাবে রংপুর ৭ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করে। সোহান ৭ বলে অপরাজিত ৩২ রান করে প্রায় একাই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। এটা ܫছিল রংপুরের ষষ্ঠ ম্যাচে ষষ্ঠ জয়। 

চলতি বিপিএলে শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচই উপহার দিলো রংপুর। বরিশালের হাতে পাওয়া জয়টিই যেন ছিনিয়ে নিলেন রংপুরের অধিনায়ক, ম্যাচসেরা সোহান। শেষ ওভারের ক্যামিওতে ক্রিকেটভক্তদের অবাক করে দিয়েছেন তিনি। সোহানের এই ব্যাটিংকে বর্ণনা করতে হলে একটি বিশেষণই বলতে হয়, সেটি হ♛লো অবিশ্বাস্য।

জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৬ রান। ৬ বলেই বাউন্ডারি হাঁকালেন সোহান। প্রথম চার বলে ৬, ৪, ৪ ও ৬ হাঁকানোয় শেষ ২ বলে দরকার ছিল ৬ রান। পঞ্চম বলে হাঁকালেন ৪ আর শেষ বলে ছক্কা হ🐈াঁকিয়ে রংপুরকে ৩ উইকেটের অবিশ্বাস্য এক জয় ꦛউপহার দেন সোহান।

র൲ংপুরের হয়ে শুরুর লড়াইটা করেন এক বাংলাদেশি তাওফিক খান এবং দুই পাকিস্তানি ইফতিখার আহমেদ ও খুশদিল শাহ। ওপেনার তাওফিক ২৮ বলে ৩৮ রান করে ফেরেন। শেষ দিকে দেশের উত্তরাঞ্চলের দলটিকে এগিয়ে নেওয়ার কাজটি করছিলেন ইফতিখার ও খুশদ𝄹িল।

শাহিন আফ্রিদির করা ১৮তম ওভারে ইফতিখার উইকেটের পেছনে ক্যাচ হলে রংপুরের জয় পাওয়া কঠিনই বলে মনে ꧙হলো। ৩৬ বলে ৪৮ রান করে ফেরেন ডানহাতি পাকিস্তানি ব্যাটার। এরপর কিছু শট খেলে লড়াই অব্যাহত রাখেন খুশদিল। তবে জয়ের জন্য সেটি যথেষ্ট বলে মনে হয়নি। ২৪🐽 বলে ৪৮ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।

১৯তম ওভারে জাহানদাদের খানের করা ওভারে অবট্রাটিং দ্য ফিল্ড আউট হ🥃ন শেখ মেহেদী। স্ট্র্যাইটে খেলছিলেন মেহেদী। বোলার জাহানদাদ এগিয়ে ক্যাচ নিতে আসলে নন-স্ট্🍎রাইকপ্রান্ত থেকে আসা নুরুল হাসান সোহান বাধা সৃষ্টি করেন।

মেহেদীর আউট হওয়ার দায় নিজের মাথায় নিয়েই বোধহয় অবিশ্বাস্য ইনিংসটি খেলেন সোহান। ৭ বলে তোলেন ৩২𝓡 রান। হাঁকাꦿন ৩ ছক্কা ও ৩ চার।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে খুব দেখেশুনে শুরু করে ফরচুন বরিশাল। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত প্রথম ৮ বলে কোনো রানই নেননি। এরপর আস্তে 𒀰আস্তে হাত খুলতে শুরু করেন তারা। ৬১ বলে উদ্বোধনী জুটিতে তারা তোলেন ৮১ রান। ১১তম ওভারে দুজনকেই ফেরান কামরুল ইসলাম রাব্বি। শান্ত ৩০ বলে ৫ চার আর ১ ছক্কায় ৪১ এবং তামিম ৩৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৪০ করে আউট হন।

এরপর ঝড় তোলেন কাইল মায়ার্স। মাঝে ১৮ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ২৩ করে আউট হন তাওহিদ হৃদয়। মাহমুদউল্লাহ রিয়꧂াদও ৪ বলে ২ করে সাজঘরে ফেরেন। ফাহিম আশরাফের ব্যাট থেকে আসে ৬ বলে ২০ রানের ক্যামিও।

মায়ার্স শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ৬১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। মারকুটে এ ইনিংস🔯ে একটি চারের সঙ্গে ৭টি ছক্কা হাঁকান এই ব্যাটার। এর মধ্যে শেষ ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনই হজম🥀 করেন ৩টি।

রংপুরের হয়ে ৪ ওভারে ৪২ রান খরচ ಞকরে একটি উইকেট পান সাইফউদ্দিন। ৩ ওভারে ৪৭ রানের বিনিময়ে কামরুল ইসলাম রাব্বির শিকার দুটি। নাহিদ রানা ৪ ওভারে ৪৭ দিয়েও উইকেটের দেখা পাননি। বরিশালের হয়ে ২ উইকেট নেন জাহানদাদ খান।

  

Link copied!