পঞ্চপান্ডবের অন্যতম তারকা ক্রিকেটার, নির্ভরশীলতার প্রতীক 🎃বাংলাদেশ জাতীয় দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন। তার অবসরে সৃষ্টি হলো এক শুন্যতা, যা কেবলই আরেক মাহমুদউল্লাহ ছাড়া পূরণ হবার নয়।
সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নেন পঞ্চপান্ডবের আরেক তারকা সাকিব আল হাসান। ২০০৬ সালে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর🎃্তুজা খেলেছেন ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি। মুশফিকুর রহিম ২০২২ সালে খেলেছেন শেষ টি-টোয়েন্টি। তামিম ইকবাল ২০২০ সালের শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ফলে বাংলাদেশ জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলে ১২ অক্টোবরের ( ঐ দিন মাহমুদউল্লাহ’র শেষ ম্যাচ ) পর পঞ্চপান্ডবের আর কেউ থাকবেন না।
মাহমুদুল্লাহ’র জন্ম ১৯৮৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহে। তিনি অলরাউন্ডার, কার্যকরী মিডল অর্ডার ব্যাটারꦦ এবং অকেশনাল অফ স্পিন বোলার হিসেবে দলে খেলছেন সুনামের সঙ্গে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলের সাবেক অধিনায়ক।
বাংলাদেশের পক্ষে ক্রিকেট বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরি (১০৩) করার গৌরব অর্জন করেন তিনি। এছাড়াও প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় সেঞ☂্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন।
মাহমুদউল্লাহ ২০০৭ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য প্রথমবারের মতো দলে ডাক পান। ঐ সফরের তৃতীয় ওডিআই ম্যাচে তার অভিষেক হয়। একই বছর বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টি আসরে তাকে দলে নেয়া হয়। ৯ জুলাই, ২০০৯ সালের ৯ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজে𓃲র বিপক্ষে অনুষ্ঠিত তার টেস্ট অভিষেক ঘটে।
মাহমুদউল্লাহ জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ১২১টি। ব্যাট হাতে ২৩.৫৭ গড়ে করেছেন ২১২২ রান। তাতে রয়েছে ৬টি হাফ সেঞ্চুরি, সর্বোচ্চ সংগ্রহ অপরাজিত ৬৪ রান। স্পিনার হিসেবে উইকেট পেয়েছেন ৩৮টি। এছাড়া, তিনি ৫০ টেস্টে ২৯১৪ রা﷽নܫ করেন ৫টি সেঞ্চুরি ও ১৬টি হাফ সেঞ্চুরির সাহায্যে। সর্বোচ্চ সংগ্রহ অপরাজিত ১৫০ রান। আর ওয়ানডেতে ২১২ ম্যাচে ৪টি সেঞ্চুরি ও ২৬টি হাফ সেঞ্চুরি সহ করেছেন ৪৭৬৮ রান। উইকেট পেয়েছেন ৮১টি।