দেশে ৪০ হাজার কোটি টাকার টিকা ফ্রি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, “করোনাভাইরাসের কোভিড-১৯) টিকাতে বাংলাদেশ সরকারের খরচ হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। প্লেনে আনা-রাখাসহ সব মিলিয়ে এ 𒐪খরচ। আর বাকি ২০ হাজার কোটি টাকার টিকা ফ্রি পেয়েছি, যা প্রায় সাড়ে ৯ কোটি ডোজ টিকা। ফলে সব মিলিয়ে ৪০ হাজার কোটি টাকার টিকা বাংলাদেশের মানুষকে ফ্রি দিতে পেরেছি।”
সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ট্রান্সপারেন🌞্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
টিকার ডোজ কোথায় কোথায় থেকে আনা হয়েছে, এসব𒅌ের বর্ণনা দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,“টিকা প্রথমে ভারত থেকে কিনেছি। চায়নার থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে টিকা কিনেছি। ১০ কোটির মতো টিকা কিনেছি। সাড়ে ৯ কোটির ওপর টিকা বিনামূল্যে পেয়েছি। বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি টিকা বিনামূল্যে পেয়েছে। সবচেয়ে দামি টিকা মডার্না, ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা বিনামূল্যে পেয়েছি। দামের বিষয়ে ভুল বোঝা হয়েছে।”
টিআইবির প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “টিআইবির প্রতিবেদন যে গ্রহণ করিনি, সেটাই বললাম। আমরা অবশ্🅘যই এটা প্রত্যাখ্যান করি। একটা সংস্থা তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে। যেহেতু এটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।”
তিনি আরও বলেন, ‘টিআইবির একটি রিপোর্টে কিছু তথ্য তুলে ধরতে চাই। কারণ, সেখানে কিছু তথ্য আছে, যা সঠিক নয়। টিআইবি বিশ্বজুড়ে কাজ করে। আমরা ভালো চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু অনেক সংস্থা, এর মধ্যে টিআইবিও হয়তো এটিকে গুরুত্ব দেয় না। এতꦯে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়।’
টিআইবির সার্ভের প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, ‘সার্ভের কিছু পদ্ধতি থাকে। এর মধ্যে মূল বিষয় থাকে কত লোকের মধ্যে করা হয়েছে। আমাদের সাড়ে ৭০০ স্থায়ী টিকাকেন্দ্র। অস্থায়ী ১ লাখ ৪০ হাজার। আর পার্মানেন্ট বুথ সাড়ে তিন হাজার। অথচ সার্ভে করা হয়েছে ১০৫টি সেন্টারের। আর টেলিফোনের🍌 মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে তথ্য। টেলিফোনের তথ্য সঠিক হওয়ার কথা নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘১২ কোটি ৮৪ লা🌊খ টিকা দিয়েছি। কিন্তু সার্ভে করা হয়েছে মাত্র ১৮০০ লোকের মধ্যে। এত ছোট পরিসরের সার্ভেতে সঠ♛িক তথ্য আসেনি। এখানে ১৩ কোটি লোক সেবা নিয়েছে। এই সার্ভের সাইজ এত ছোট যে সঠিক হিসাব নিতে পারি না।’