জুয়ায় ১০০ ট🅺াকা হেরে পরিবারের ভয়ে নিখোঁজ হয়ে যান মো. সুমন মিয়া। তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর। দীর্ঘ ১২ বছর পর সেই সুমন মিয়াকে উদ্ধার করল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সেই সুমন মিয়ার বয়স এখন ৩০। বিয়ে করেছেন, আছে সন্তানও।
মঙ্গলবার (২৪ মে) পিবিআই ঢাকা মেট্রোর উত্তর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মꦏেলনে এ তথ্য জানান বিশেষ পুলিশ সুপার (পিবিআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম।
পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্🍃তর) অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ২০১০ সালের ৩১ আগস্ট কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন কিশোর সুমন। পথে জুয়ারিদের পাল্লায় পড়ে হারেন ১০০ টাকা। নিজের উপার্জনে কেনা মোবাইল ফোন দিয়ে দিতে হয় সেই জুয়ারিদের। ভয়ে আর ক্ষোভে বাসায় ফেরার সাহস পাননি তিনি। নিখোঁজের পর প্রথমে জিডি তারপর অপহরণ মামলা করেন তার বাবা।
পিবিআই জানায় মোবাইলের বিষয়ে বাবার কাছে কী সদুত্তর দেবে, এই ভয়ে তিনি মিরপুর থেকে গুলিস্তানে চলে যায়। সারাদিন গুলিস্তানে ঘোরাফেরা করেন। রাতেও বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করেন। পরদিন সকালে বায়তুল মোকাররম মসজিদে শুয়ে থাকেন। সেখান থেকে এক লোক তাকে শাহবাগ ফুল মার্কেটে নিয়ে নাস্তা খাওয়ায়। পরে শাহবাগ এলাকার একটি হোটেলে শুধু থাকা ও খাওয়ার শর্তে কাজ পান তিনি। ওই হোটেলের বাবুর্চি হারুনের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। তার সঙ্গে সুমন ভোলার লালমোহনের মঙ্গ💫ল শিকদার এলাকায় একাধিকবার যান। এরপর শাহবাগ এলাকায় বিভিন্ন চটপটির দোকানে কাজ, পপকর্ন বিক্রি, বাসের হেলপারসহ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেন।
এরই মধ্যে নানু ওস্তাদ নামে এক ড্রাইভারের সঙ্গে তার পরিচয় 𒁃হয়। এ সময় জোনাকি নামের একটি মেয়ের সঙ্গে তার ভাল সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে জোনাকির মা জোসনার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। জোসনার স্বামী বকুল মোল্লা তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিলে সুমন প্রায় ৩ বছর আগে জোসনাকে বিয়ে করেন। এর মধ্যে তার একটি ছেলে হ্য়, নাম হাবিবুল্লাহ (৩ মাস)। এক পর্যায়ে সুমনের বাবার সঙ্গে জোসনা মোবাইলে কথা বলেন। সেই সূত্র ধরেই সুমনকে উদ্ধার করে পিবিআই।
সুমনের বাবা মোজাফফর মিয়া বলেন, “আমার ছেলে যখন নিখোঁজ হয় তখন রমজান মাস। সকালে বের হয়ে রাতেও ফেরেনি যখন ছেলে (সুমন)। তখন আমরা খোঁজাখুঁজি করি। মিরপুরের সকল জায়গায় খুঁজছি আমরা। তারপর পল্লবী থꦓানায় জিডি♓ করি। ছেলেকে খুঁজতে ফকিরের কাছেও গেছি।”