সাধারণ জনগণের মতো এমপি-মন্ত্রীদের বাড়িতেও লোডশেডিং করা হোক বলে মন্🌱তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
জনগণের বাড়িতে লোডশেডিং হলে মন্ত্রী-এমপিদের বাসায় কেন হতে প🍸ারে না- এমন প্রশ্ন তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমি তো বলি, মন্ত্রীদের বাড়িতেও লোডশেডিং করা হোক। এটি প্রধানমন্ত্রী করলে, ব্যক্তিগতভাবে আমি সমর্থন দেবো। মন্ত্রীদের বাড়িতেও লোডশেডিং হতে পারে। যেটা যুক্তিযুক্ত সেটাই আমাদের করা উচিত।”
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বাংলাদেশ সচিবালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে এক আল𒉰োচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।
কোথায় কে কী করছেন তা জানি উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, “বিদেশিদের দরবারে কোথায় কোথায় বৈঠক হচ্ছে। এবার চোখ-কান খোলা রেখেছি, শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে পার পাবেন না। মুচলেকা দিয়ে আর রাজনীতি করব না, কোন কাপুরুষটা বিদেশ চলে গিয়েছিল, সে হলো আবার প্রধান নেতা। ওই নেতা (তারেক রহমান) মুচ𝓡লেকা দিয়ে বলেছিলেন- আর রাজনীতি করবেন না, এখন বিদেশে বসে টেমস নদীর পাশে বসে কলকাঠি নাড়েন। ফখরুল সাহেবকে সেখান থেকে ফরমায়েশ দেন এবং তিনি এখান থেকে কথা বলেন।”
কাদের বলেন, “আওয়ামী লীগ মানুষের কষ্টের সারথি। আমরা মানুষের কথা বলছি। আমরা রাজনীতি করি, এ দেশের মানুষের জন্য। এখানে কোনো কৃত্রিমতা নেই🀅। তাই আজকে সত্যকে সত্য বলব। আর ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে বিএনপি।”
বিএনপি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের🐻 সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আগস্ট এলে এতো ভয় পান কেন? আগস্ট হলো আপনাদের চক্রান্তের মাস। বিদেশিদের দরবারে গিয়ে নালিশ করছেন। নালিশের রাজনীতি করছেন। আজকে এই অবস্থায় আমাদের কথা বলতে হয়। সারা দুনিয়ার ছবি চোখে পড়ে না, শুধু বাংলাদেশেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, তেলের দামಌ বাড়ে জ্বালানির দাম বাড়ে? কোথায় বাড়েনি বলুন? জিনিসপত্রের দাম কোথায় বাড়েনি। লন্ডনে হুট করে মুদ্রাস্ফীতি এখন ১০ দশমিক ১। পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার কথা নাই বললাম, সেখানে লাগামহীনভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে।”
সবাই একটু বাস্তববাদী হন, কৃচ্ছ্রসাধন করুন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “অতিরিক্ত বিদ্যুৎ, অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যবহার করা ঠিক নয়। যারা অতিরিক্ত গাড়ি ব্যবহার করছেন, ফিরিয়ে দেন। অতিরিক্ত তেল যারা ব্যবহার ক🔴রছেন, আর করবেন না। কৃচ্ছ্রসাধন করুন।”