ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্🍃ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন মেজর (বরখাস্ত) জিয়া। এ ঘটনায় করা মামলার তদন্তভার পাওয়া কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এ তথ্য জানিয়েছে।
সিটিটিসি জানায়, জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার সঙ্গে জড়িতরা সবাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। আনসার আল ইসলাম কখনো রেকি ছাড়া পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া ꦐকোনো কিছু করে না। যেখান থেকে জঙ্গি দুই আসামি ছিনতাই করা হয়েছে, সেখানেও ছিলো না সিসিটিভি।
সংস্থাটির কর্মকর্তারা আরও জানান, ছিনতাইয়ের জন্য আনা হয়েছিল কাটার ও হাতকড়া খোলার ♌চাবি। ফেলে যাওয়া একটি মোটরসাইকেলসহ ঘটনাস্থল থেকে কাটার ও হাতকড়া জব্দ করা হয়েছে।
সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছিনিয়ে ন🀅েওয়া দুই জঙ্গিসহ জড়িতদের প্রত্যেককে শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে ডিএমপি, ডিবি, সিটিটিসিসহ পুলিশের অন্যান্য ইউনিট।
এর আগে রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার সিজেএম আদালত প্রাঙ্গণ থেকে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিক😼ে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। ছিনি๊য়ে নেওয়া ওই দুই জঙ্গি হলেন মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী 𝓀হয়ে ২০ জনের নামে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ৭-৮ জনকে।
পরে রাত পৌনে ১০ ꦜটার দিকে কোতোয়ালি থানায় করা মামলার আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলি🦄শ। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন শাহীন আলম ওরফে কামাল, শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিন, বি এম মজিবুর রহমান, সুমন হোসেন পাটোয়ারী, আরাফাত রহমান꧅, খাইরুল ইসলাম ওরফে সিফাত, মোজাম্মেল হোসেন, শেখ আব্দুল্লাহ, আ. সবুর, রশিদুন্নবী ভূঁইয়া। আসামিরা আনসার আল ইসলামের সদস্য।