তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে ঢাকায়। যে অসহনীয় গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ তার কি কোনো তাৎক্ষণিক সমাধান আছে? এমন প্রশ্ন সবার মনে। সামাজি🙈ক যোগাযোগ মাধ্যমে গাছ লাগানোর আন্দোলনের ডাক আসছে। তবে অনেকেই বলছেন, গাছ লাগানোর জায়গাও নেই। সব তো কংক্রিটের জঙ্গলে ঢেকে গেছে।
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে আবহাওয়া ও দুর্যোগ ব্যꦕবস্থাপনা বিশেষজ্ঞসহ নগর পরিকল্পনাবিদদের মতামত তুলে ধরা হয়েছে। তারা বলছেন, তাপমাত্রা ক্রমশ বেড়ে যাওয়ার 🐼প্রধান কারণ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন। যার জন্য উন্নত বিশ্বের বিশেষ করে শিল্পোন্নত দেশগুলোই দায়ী।
তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক কারণ ছাড়াও অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং পরিবেশের অযৌক্তিক ক্ষতি করাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞেরা। ইনস্টিটিউট অব প্লানার্সের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ আদিল খান বলছেন, “এখন ভবনগুলোর ডিজাইনই হচ্ছে কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রেখে কিংবা শীতাতপ যন্ত্র যাতে বসানো যায় সে চিন্তা করে। অ👍থ🌸চ আগে অনেক ভবন এমনভাবে করা হয়েছে যাতে গরমকালে শুধু ফ্যানেই কাজ হতো।”
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, “খাল, পুকুর-সব ভরাট হয়ে গেছে। জলাধার নেই। এগুলোই তো সাময়িকভাবে তাপমাত্রা কমাতে দরকার হয়। ত🌞িনি আরও বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে জলবায়ু নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে, বিশেষত মেট্রোরেলের মতো বিদ্যুৎ চালিত গণপরিবহন বাড়ানোর পাশাপ𒈔াশি পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণ করতেই হবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক মো. 👍শাখাওয়াত হোসাইন বলেন, “শহরগুলোকে একটি মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় এনে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য গ্রিনারি বা সবুজায়ন নিশ্চিত করতে হবে। জনসংখ্যায় ঘনত্ব কমাতে হবে। পাশাপাশি ভবনগুলোকে প🎃রিবেশ বান্ধব করতে হবে।”
নগরꦯ-পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ খান বলেন, “তাপমাত্র🦄া নিয়ন্ত্রণের জন্য কংক্রিটের পরিমাণ কমাতে হবে এবং বনায়ন করতেই হবে। বাংলাদেশে যেটা হচ্ছে সেটা হলো ধ্বংসাত্মক নগরায়ন। ঢাকার এমন ওয়ার্ড আছে যেখানে ৯০ ভাগই কংক্রিট। গরম বেশি অনুভূত হয়, কারণ নগর এলাকায় গাছপালা, জলাধার ধ্বংস করা হয়েছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রতিটি এলাকায় পর্যাপ্ত ওপেন স্পেস রাখতেই হবে।”
অধ্যাপক মুহাম্মদ খান মনে করেন, নগরায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে সবুজের পরিমাণ বাড়িয়♛ে নগ🤡রের ২৫-৩০ ভাগ সবুজায়ন নিশ্চিত করতে হবে।