ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ড যাকে পরিকল্পনাকারী বলা হচ্ছে, সেই আক্তারুজ্জ𒊎ামান শাহীন ঘটনার আগেই পাঁচ দফায় আড়াই কোটি টাকা দিয়েছিলেন খুনিদের। এই টাকা নিয়েছেন পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া। তিনি বাকি খুনিদের টাকা ভাগ করে দিয়েছেন।
শিমুল কলকাতার পুলিশ সদস্যদের জানিয়েছেন, অ💞র্থের বিনিময়ে আনারকে হত্যা করা হয়েছে। পাওনা টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেই তাকে ফ্ল্যাটে নেওয়া হয়। শিলাস্তি রহমানকেও ফাঁদ হিসেবে♊ ব্যবহার করা হয়েছে।
৬টি প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা
তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, তারা ছয়টি প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন। এগুলো আনার কেন একা গেলেন, সীমান্ত অতিক্রম করার সময় তার এক মিনিটের ভিডিওটি কে করেছে, আনারের কাছে শুধু একটি ছোট ব্যাগ ছিল কেন, কলকা🔥তা যাওয়ার সময় তিনি কী ধরনের গাড়িতে করে গেছেন, ওই সময় গাড়িতে আর কে ছিল এবং গোপাল নামে যে বন্ধু আছেন, তার সঙ্গে কী বিষয়ে কথাবার্তা হ🎃য়েছে? এ বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করছেন তারা।
জড়িতদের মধ্যে শিমুল ছাড়া ফয়সাল আলী ও🤡রফে তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তারা ৮ দিনের রিমান্ডে আছেন। পশ্চিমবঙ্গে কসাই জিহাদ গ্রেপ্তার হলেও সিয়াম ও মুস্তাফিজুর রহমানকে আটক করা যায়নি। জুবের নামের এক ট্যাক্সিক্যাব চালকে কলকাতা সিআইডি আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মুম্বাই থেকে ভাড়া করা কসাই বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা জিহাদ ১২ দিনের রিমান্ডে রয়েছে।
এমপির দেহ ৮০ টুকরা করা হয়
আনারকে হত্যা করার পর তার দেহ ৮০ টুকরো করা হয়েছিল। মাথা দুই ভাগ করে কিমা করে কসাই জিহাদ। তারপর দেহাংশে মেশানো হয় রাসা🔴য়নিক, ব্লিচিং ও হলুদের গুঁড়া। সেগুলো আলাদা আলাদা প্🃏যাকেটে ভরেছিল জিহাদ ও তার সহযোগী সিয়াম।
খালে জাল টেনে খোঁজা হচ্ছে লাশের টুকরা
তদন্তে নেমে কলকাতা সিআইডি চাঞ্চল্যকর ও ভয়াবহ সব তথ্য পাচ🌳্ছে। সেখানে গ্রেপ্তার করা কসাই জিহাদকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, তিনি শাহীনের সোনা চোরাচালান চক্রের সদস্য। মাংস কাটতেও দক্ষ। মুম্বাইয়ে কসাইয়ের দোকানে কাজ করেন মাঝেমধ্যে। জিহাদ এর আগে বাংলাদেশে বেশ কয়েকবার ধরা পড়ে জেলও খেটেছেন। মাস পাঁচেক আগে চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান।
মরদেহ পাশে রেখে বিরিয়ানি খান খুনিরা
কলকাতার নিউ টাউনের অভিজাত আবাসিক এলাকা সঞ্জিভা গার্ডেনের অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটে ১৩ মে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন আনার। হত্যার পর শরীরের বিভিন্ন অংশ টুকরা টুকরা করার প𝄹রও ঘাতকদের মাঝে কোনো অনুশোচনা হয়নি। উল্টো তারা লাশ পাশে রেখেই বিরিয়ানি খেয়েছেন, মদ পান করেছেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, হত্যার পর আনারের মরদেহ ফ্ল্যাটের বাথরুমে নেওয়া হয়। সেখানেই টুকরা টুকরা করা হয় তাকে। বাথরুমে যেন হত্যার কোনো আলামত না থাকে, সে জন্য পানি এবং ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে পরিষ্কার করা হয়। তা ছাড়া রক্তের যেসব ছোপ ছোপ দাগ রꩵুমে লেগেছিল, সেগুলো মুছে ফেলতে পুরো ফ্ল্যাটটি পরিষ্কার করা হয়।