বাংলাদেশ বিশ্বের জনবহুল দেশগুলোর একটি। এশিয়ার এই দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩৪ লাখের কিছু বেশি। তবে আরও প্রায় ৪৭ বছর বাংলাদেশের জনসংখ্যা বাড়তে থাকবে। বাংলাদেশিদের প্রজনন উর্বরতার হার স্বাভাবিক থাকলে স্বাধীনতার ১০০ বছর অর্থাৎ ২০৭১ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যা বাড়তে থাকবে। এরপর ক্রমেই জনসংখ্যা কমতে থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভাগের জনসংখ্যা বিভাগের (ইউএনডিইএসএ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশিদের প্রজনন উর্বরতার হার স্বাভাবিক থাকলে ২০৭১ সালে দেশের জনসংখ্যা হবে ২২ কোটি ৬১ লাখ ২৯ হাজার ৮৮৯। এ সময় দেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব হবে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১৭৩৭ জনের বেশি।
প্রজনন হার একই থাকলে ২০৭২ সাল থেকেই জনসংখ্যা কমতে থাকবে। জাতিসংঘের প্রাক্কলন অনুসারে, সে বছর বাংলাদেশের জনসংখ্যা হবে ২২ কোটি ৬০ লাখের কিছু বেশি। চলতি শতকের শেষ নাগাদ অর্থাৎ, ২০৯৯ সাল নাগাদ বাংলাদেশের জনসংখ্যা কমে দাঁড়াবে ২০ কোটি ৯৬ লাখ। অর্থাৎ, ৭১ সালের পর থেকে দেশের জনসংখ্যা কমবে, যদি প্রজনন হার স্বাভাবিক থাকে।
প্রজনন উর্বরতার হার উচ্চ হলে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ২৭ কোটি ২৬ লাখ ৪১ হাজারে। বিপরীতে প্রজনন হার স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলেও জনসংখ্যা বাড়বে ২০৭১ সাল পর্যন্ত। সে ক্ষেত্রে সে বছর জনসংখ্যা হবে ১৮ কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজারের বেশি। এ সময় দেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব থাকবে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২০৭৪ জনের বেশি।
তবে বর্তমানে বাংলাদেশের প্রজনন হার যদি বজায় থাকে, ২০৩৭ সালেই জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২০ কোটিতে। একই হারে ২০৭১ সাল নাগাদ, অর্থাৎ স্বাধীনতার ১০০ বছর পর বাংলাদেশের জনসংখ্যা হবে ২৫ কোটি ৩৬ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি এবং এই শতকের শেষ নাগাদ বাংলাদেশের জনসংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ২৭ কোটি ৪২ লাখে।
জনসংখ্যাসংক্রান্ত কোনো শর্ত যেমন জন্ম ও মৃত্যুহার, অভিবাসন, প্রজনন উর্বরতা ইত্যাদি বিষয়ে যদি কোনো পরিবর্তনꦰ না হয়, তাহলে বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রথম ২০ কোটির মার্জিন পার করবে ২০৩৮ সালে। ২০৭১ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২৩ কোটি ৩২ লাখে এবং চলতি 🌌শতকের শেষ বছর, অর্থাৎ ২০৯৯ সালে দেশের জনসংখ্যা হবে ২৩ কোটি ২০ লাখ।