• ঢাকা
  • শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


আনারকে হত্যার পর তার মরদেহ নিয়ে যা করে খুনিরা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৪, ১০:০৪ এএম
আনারকে হত্যার পর তার মরদেহ নিয়ে যা করে খুনিরা
এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। ছবি : সংগৃহীত

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের একটি ছবি পাওয়া গেছে। যেখানে মৃত এ সংসদ সদস্যকে বিবস্ত্র করে একটি চেয়ারের সঙ্গে ♈বাঁধা অবস্থায় দেখা যায়।

ছবিটিতে দেখা যায়, ফ্ল্যাটে আনারকে হত্যার পর একটি চেয়ারে তার দুই হাত দড়ি দিয়ে বাঁধা হয়। গামছা দিয়ে বাঁধা হয় গলা। সাদা কাপ🗹ড় দিয়ে বাঁধা হয় মুখ এবং কালো কাপড় দিয়ে বাঁধ꧋া হয় মাথা।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত কসাই জিহাদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমনই তথ্য জ🌠ানিয়েছেন। তিনি জানান, চেয়ারে বাঁধার পর সিদ্ধান্ত হয় টুকরো টুকরো করে মরদেহ কাটার। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক মরদেহ থেকে মাংস আলাদা করে বাথরুমে ফেলে ফ্ল্যাশ ক❀রা হয়।

জিহাদের স্ব⛎ীকারোক্তিতে আরও জানা যায়, ঘটনার দিন সঞ্জীভা গার্ডেনের সেই ফ্ল্যাটের বসার ঘরে আনারকে স্বাগত জানান শিলাস্তি। পরে আসে জিহাদ। এরপর বালিশ চাপা দিয়ে💫 আনারকে হত্যা করার পর ওই ফ্ল্যাটের বাথরুমে তার মরদেহ টুকরো টুকরো করে ফ্ল্যাশ করা হয়।

গোয়েন্দা সূত্রও জানিয়ꦛেছে, অজ্ঞান করার রাসায়নিক ক্লোরোফর্ম দিয়ে অচেতন করে আনারকে বালিশ চাপা দিয়ে নির্মমভাবে 🔯হত্যা করা হয়।

এর আগে ১২ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। সেদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে কলকাতায় তার পারিবারিক বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করতে যান। পরের দিন, ১৩ মে চিকিৎসক দেখাতে হবে জানিয়ে দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে গোপালের বাড়ি থেকে বের হন আনার। সন্ধ্যায় ফিরবেন বলেও জানান তিনি। পরে বিধান পার্কের কাছে কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে ট্যাক্সিতে উঠেছিলেন তিনি। চলে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় আজীম তার বন্ধু গোপালকে জানান, তিনি দিল্লি ༺যাচ্ছেন এবং সেখানে পৌঁছে তাকে ফোন করবেন। পরে তার সঙ্গে ভিআইপিরা আছেন জানিয়ে বন্ধু গোপালকে ফোন না দেওয়ার জন্য সতর্ক করেছিলেন।

গত ১৫ মে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো বার্তায় এমপি আনার বন্ধু গোপালকে জানান, তিনি দিল্লি পৌঁছেছেন এবং ভিআইপিদের সঙ্গে আছেন। তাকে ফোন করার দরকার নেই। একই বার্তা পাঠান বাংলাদেশে তার ব্যক্তিগত সহক🧸ারী রউফের কাছেও।

১৭ মে আনারের পরিবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে গোপালকে𒁃 ফোন করেন। ওই সময় তারা গোপালকে জানান, তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তারা। ꦉপরিবারের পক্ষ থেকে ওই দিন ঢাকায় থানায় অভিযোগ করা হয়। এরপর থেকে এমপি আনারের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

২০ মে এমপি আনারের খোঁজ করতে গিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তার মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে। তারা জানতে পারেন, কলকাতায় বন্ধুর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তার মোবাইলের লোকেশন একবার পাওয়া গিয়েছিল সেখানকার নিউমার্কেট এলাকায়। এরপর ১৭ মে তার ফোন কিছুক্ষণের জন্য সচল ছিল বিহারে। পরে ২২ মে ভারতের এনডিটিভির খবরে বলা হয়, কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীবা গার্ডেন্সের একটি𓆏 ফ্লাটে এমপি আনারকে খুন করা হয়েছে।

Link copied!