মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ🍸ে তিনি বলেছেন, “কোটা নিয়ে কিসের এত আন্দোলন? রাজপথের আন্দোলন দেখে সুপ্রিম কোর্ট–হাইকোর্ট রায় পরিবর্তন করে না।”
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানির জন্য (স্ট্যান্ডওভার) মুলতবি করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বে﷽ঞ্চ। এরপর হাইকোর্টের রায়ಞ আপাতত বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এছাড়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল (নিয়মিত আপিল) করতে বলে আপিল বিভাগ। রিট আবেদনকারীꦬর পক্ষের ꦜসময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ‘নট টুডে’ (আজ নয়) বলে আদেশ দেন।
এ সময় অ্যাটর্নি𝔉 জেনারেল কোটা আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে এ মামলায় স্থিতাবস্থা চান। জবাবে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, “এত কিসের আন্দোল༒ন? সুপ্রিম কোর্ট–হাইকোর্ট কি আন্দোলন দেখে বিচার করবে?”
এ সময় আবারও এই মামলার স্থিতাবস্থা ♎চাইলে আজ মামলাটির শুনানি হবে না বলে জানিয়ে দেন আপিল বিভাগ।
এর আগে, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ ক🔯োটা ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রত🐽িবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।
ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে🤡 আনার দাবি জানান তখনকার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে) কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা♛র সন্তান উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত। পরে এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু গত ৯ জুন প্রাথমিক শুনানির পর আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়।