• ঢাকা
  • শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪, ১৫ ভাদ্র ১৪৩১, ২৫ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৩, ০৩:১১ পিএম
বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে আরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে স𓆉রকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি꧋ বলেছেন, “আওয়ামী লীগ সরকার বৃহত্তর বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নিচ্ছে।”

রোববার (১৯ নভেম্বর) সকালে হোটেল র‌্যাডিসন ব্লুতে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অꦕব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআই🌳সিসিআই-ফিকি) ৬০ বছর পূর্তি উদযাপন এবং দুই দিনব্যাপী ‘ইনভেস্টমেন্ট এক্সপো-২০২৩’র উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ৩৯টি হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠা করেছি। এগুলো বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। এককভাবে কোনো দেশ যদি এক খণ্ড জমি চায়, আমরা তা-ও দেব। আবার যদি কে💯উ যৌথ উদ্যোগে করতে চান, সেটাও করা হবে অথবা পাবলিক, প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে করতে চাইলে সেটাও করা হবে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “বর্তমান সরকার অনেকগুলো সংস্থা তৈরি করেছে। যার মধ্যে রয়েছে-বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা), ꦫবাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা), বাংলাদেশ ইকোনমিক প্রসেসিং জোন অথরিটি (বেপজা), বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি (এইচটিপিএ) এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি (পিপিপিএ)। বিনিয়োগের সুবিধার্থে বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থাগুলোতে ওয়ান স্টপ পরিষেবা চালু করা হয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিনিয়োগ পরিষেবা প্রদানকারী সমস্ত অফিস সম্পূর্ণ অনলাইন এবং ডিজিটালাইজড করার পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি। একই সঙ্গে কর মওকুফ, রেমিট্যান্সꦍ রয়্যালটি, প্রস্থান নীতি, লভ্যাংশ এবং মূলধন সম্পূর্ণ প্রত্যাবর্তন, আইন দ্বারা বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষাসহ বিনিয়োগ নীতিকে আরও সহজ করার জন্য অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছি।”

আওয়ামী লীগ সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২-এ সরবরাহ খাত, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব-সংশ্লিষ্ট খাত 𓆉এবং পর্যটন🐻 খাতকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। ‘ব্লু-ইকোনমি’র প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, “ব্লু-ইকোনমি খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আমরা নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। লজিস্টিক শিল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং এই খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে অন্যান্য শিল্প খাতের উন্নতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে জাতীয় লজিস্টিকস ডেভেলপমেন্ট পলিসি প্রণয়নের কাজ চলছে। বাংলাদেশে এখন জ্বালানি, পানি, লজিস্টিকস এবং পরিবহন খাতে ৩৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অবকাঠামো গড়ার সুযোগ রয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২📖০২৫ সালের মধ্যে শুধু লজিস্টিকস খাতই ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজারে পরিণত হবে। বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ও শক্তিশালী রপ্তানি কৌশল এবং শিল্পনীতি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে। আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে জিডিপিতে বেসরকারি বিনিয়োগের অনুপ♛াত ৩১ দশমিক ৪৩ শতাংশে উন্নীত করতে চাই।”  

শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ এখন প্রায় ১৭ কোটি মানুষের একটি বড় অভ্যন্🥀তরীণ বাজার। এটি ২০৩০ সালের মধ্যে নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তখন যুকꦚ্তরাজ্য এবং জার্মানির মতো প্রতিষ্ঠিত বাজারগুলোকে এবং বর্তমান উচ্চ-প্রবৃদ্ধির ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডকে আমাদের দেশ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।”

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “২০২৫ সাল নাগাদ ☂বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত ও ধনিক শ্রেণির সংখ্যা হবে ৩ ক𝔉োটি ৪০ লাখ। ২০৪০ সালের মধ্যে আনুমানিক মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়াবে ৫ হাজার ৮৮০ মার্কিন ডলার। কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ৩০০ কোটি মানুষের আঞ্চলিক বাজারের কেন্দ্রস্থল হতে পারে।”

-বাসস

Link copied!