বাংলাদেশে অবাধ🔯 ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে সব রাজনৈতিক দল, তাদের সমর্থক ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন। একই সঙ্গে পুলিশকে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) জাতিসংঘের মুখপাত্র🌞 জেরেমি লরেন্স জেনেভায় এক সংব♏াদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান।
সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্🍌ষাকারী বাহিনীর মারমুখী আচরণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “পুলিশকে লাঠি, ব্যাট, লোহার রড🐈 দিতে বিক্ষোভকারীদের পেটাতে দেখা গেছে। সংঘর্ষে বিরোধী পক্ষের অনেক সমর্থক এবং কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন।”
তিনি বলেন, “বিরোধী দলের সিনিয়র নেতাদের প্রকাশ্য দিবালোকে মারধর করা হয়েছে। আইন প্রয়ো𝄹গকারী সংস্থার সদস্য দাবি করে তাদে𒈔র বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে।”
এর আগে গত সোমবার (৩১ জুলাই) জ༺াতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালযꦫ় বাংলাদেশে বিরোধী দলের সমাবেশে পুলিশের রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ও জলকামানের ব্যবহারের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
জা🤪তিসংঘের মুখপাত্র জেরেম🧸ি লরেন্স বলেন, “সমাবেশকে সামনে রেখে কয়েকশ বিরোধী নেতা ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
চলতি বছরের ডিসেম্বরে বা জানুয়ারির শুরুতে বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি ও সমমনা কয়েকটি দল দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে।
মুখপাত্র লরেন্স জোর দিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের সরকারকে মানবাধিকার রক্ষা করতে🔴 বাধ্য থাকতে হবে এবং জনগণকে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করতে দিতে হবে।”
তিনি বলেন, “জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় পুলিশকে শুধু জরুরি প্রয়োজন হলেই বল প্রয়োগের ꦦআহ্বান জানিয়েছে। অতিরিক্ত বল প্রয়োগের ঘটনার তদন্ত অবিলম্বে করতে হবে এবং দায়ীদের জবাবদিহি করতে হবে।”