জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের জারি করা নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও নেতিবাচক বিবৃতি দেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ꦜবলে উল্লেখ করেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
সোমব🍸ার (১৫ 🎐এপ্রিল) সচিবালয়ে তার দপ্তর কক্ষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সরকারের নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা পয়লা বৈশাখের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে নির্দেশনা জারি করেছিল, সেই নির্দেশনা উপেক🍷্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করা ছিল হঠকারী ও দুঃখজনক। তাদের এই আচরণে সরকার খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত।”
মোহাম্মদ আলী আরাফাত আরও বলেন, “পয়লা বৈশাখে রমনা বটমূলে এবং যশোরের উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং অনেকে পঙ্গু ꦜহয়েছেন। হলি আর্টিজান, শোল൩াকিয়া ময়দান ও সিলেটে ঈদের জামাতের জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং জনগণের জীবন বাঁচিয়েছেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানে সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সবসময় সতর্ক থাকায় অতীতের মতো বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারেনি। এই বিষয়ে সরকার সকলের সহযোগিতা কামনা করে।”
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “১৯৯৩ সালে ১৪০০ বঙ্গাব্দে, বাংলা শতবর্ষ বরণ করার সময় বেগম খালেদা জিয়া সরকার বাধা দিয়েছিল। তাদের বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল, নিরাপত্তাজনিত নয় বরং বাঙালির সার্বজনীন, অসাম্প্রদ🌠ায়িক এই উৎসবকে🧔 নিরুৎসাহিত করা। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল সংগঠনসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা আমরা সকলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পয়লা বৈশাখ উদযাপন করেছিলাম।”
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “🗹নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের কর্তব্য। আশা 💎করব এক্ষেত্রে সবাই সবসময় সহযোগিতা করবেন যাতে আনন্দের অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়।”