আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস আজ। জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্বব্যাܫপী গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণ এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাতে ২০১১ সাল থেকে প্রতি বছর ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দ♔িবস পালিত হয়ে আসছে।
দিব꧂সটি উপলক্ষে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন মায়ের ডাকসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকালে সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে মায়ের ড🍷াক।
বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ও হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) আলাদা বিবৃতিতে বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, সব নাগরিককে গুম থেকে সুরক༺্ষা নিশ্চিত করা, গুমের শিকার ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের যথাযথ পജুনর্বাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা, গুমের শিকার সব নিখোঁজ ব্যক্তিকে অনতিবিলম্বে খুঁজে বের করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া এবং গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
এ ছাড়া, গুমের শিকার ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের এ–সংক্রান্ত অভিযোগ দায়েরের জন্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ🐓 এবং গুমের শিকার ব্যক্তি ও তার পরিবারের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানানো 𝕴হয়।
গত দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক꧃ভাবে বাংলাদেশ ব্যাপক সমালোচনায় পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে সই করেন। বাংলাদেশ জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক নয়টি সনদের আটটিতে সই করেছে। জাতিসংঘের দীর্ঘদিনের অনুরোধের পরও বিগত সরকার গুমবিরোধী সনদে সই করেনি। অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার সমুন্নত রাখার পাশাপাশি গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে চায়। এ লক্ষ্যে সরকার গুমবিরোধী সনদে যুক্ত হতে যাচ্ছে।
বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে 🌱সাত শ’র বেশ💯ি মানুষ গুম হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৫০ জনের বেশি মানুষের খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুম বন্ধের পাশাপাশি এই অপরাধের জন্য দায়মুক্তি বন্ধ করা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তার লক্ষ্যে ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর গুম হওয়া সব ব্যক্তির জন্য আন্তর্জাতিক সনদ হিসাবে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। পরে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর প্রটেকশন অব অল পারস⛎ন্স অ্যাগেইনস্ট এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়্যারেন্স’ সম্মেলনে যে আন্তর্জাতিক সনদ কার্যকর হয়, সেই সনদে ৩০ আগস্♔টকে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
২০১০ সালের ডিসেম্বরে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর প্রোটেকশন অব অল পারসনস অ্যাগেইনস্ট এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’ সম্মেলনে যে আন্তর্জাতিক সনদ কার্যকর হয়,ღ তাতে ৩০ আগস্টকে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।