• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


নৌপথে ঢাকা ছাড়বেন ৩০ লাখ মানুষ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৩, ০৬:৩৯ পিএম
নৌপথে ঢাকা ছাড়বেন ৩০ লাখ মানুষ

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকাসহ আশপাশ♔ের জেলাগুলোর প্রায় ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে গন্তব্যে যাবেন। ঈদযাত্রীদের মধ্যে তিন লাখ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর হয়ে যাবেন। বাকি ২৭ লাখ যাবেন সদরঘাট টার্মিনালসহ ঢাকা নদীবন্দরের বিভিন্ন ঘাট হয়ে। তাই এবারও সদরঘাটের ওপর অস্বাভাবিক চাপ পড়বে।

রোববার (১৮ জুন) বেসরকারি সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির﷽ ঈদপূর্ব পর্যবেক্ষণ ও জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। 

সংগঠনের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুম꧑ার দে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চল ছেড়ে যায়। তাদের মধ্যে ২০ শতাংশ (৩০ লাখ) যায় নৌপথে। এর প্রায় শতভাগই উপকূলীয় জেলা বরিশাল, পিরোজপুর, ꧋ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের যাত্রী।

ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হবে ২৭ জুন থেকে। তবে ঈদের আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস ২২ জুন থেকে কার্যত ঘরমুখী জনস্রোত শুরু হবে। তবে শিক্ষার্থী ও গৃহবধূসহ প্রায় ১৫ শতাংশ (৪ লাখ ৫০ হাজার) মানুষ ঈদযাত্রা শুরুর আগেই ঢাকা ছেড়ে যায়। ফলে ২২ জুন থেকে ঈদের আগের দিন ২৮ জুন পর্যন্ত সাত দিনে ২ꦺ৫ লাখ ৫০ হাজার যাত্রী নৌপথে গন্তব্যে যাবেন। এরমধ্যে সদরঘাট টার্মিনাল থেকে লঞ্চে যাবে ২২ লাখ ৮৫ হাজার। এই হিসাবে সদরঘাট থেকে প্রতি দিন ৩ লাখ ২৭ হাজার ৮৫৭ যাত্রীꦐ গন্তব্যের উদ্দেশে লঞ্চে চড়বেন।

নৌযান স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, কাগজে-কলমে ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের নৌপথ ৪১টি। তবে তীব্র নাব্য সংকট ও যাত্রী স্বল্পতার কারণে বড় আয়তনের ও বিলাসবহুল লঞ্চ চলাচল না করায় অন্তত ১৫টি নৌপথ দৃশ্যত ইতোমধ্যে পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। বাকি ২৬টি নৌপথে প্রায় ৭০টি লঞ্চ নিয়মিত আসা-যাওয়া করে। ঈদের আগে লঞ্চের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১৮০টি হবে। এরমধ্যে ৯০টি লঞ্চ প্রতিদিন সদরঘাট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং বিভিন্ন স্🦹থান থেকে সদরঘাটে আসবে।

নাগরিক সংগঠনটির প্ꦆরতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রতিদিন ৯০টি লঞ্চে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৮৫৭ যাত্রী বহন করা হলে একটি লঞ্চে গড়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ৬৪২ জন যাত্রী উঠবে। কিন্তু কোনো লঞ্চেই দুই হাজারের বেশি যাত্রী ধারণক্ষমতা নেই। অনেক লঞ্চের ধারণক্ষমতা এক হাজারেরও নিচে। এছাড়া ঈদের আগের তিন দিন ঘরমুখী জনস্রোত দেড়গুণ বেড়ে যায়।

যাত্রীচাপ সামাল দিতে অনেক লঞ্চে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ যাত্রী বহন করা হয়ে থাকে। ফলে ডেকে অতিরিক্ত যাত্রীর পাশাপাশি ছাদেও যাত্রী তোলা হবে। এছাড়া এবার ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে ভরা দুর্যোগ মৌসুমে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সাগর✨ে লঘুচাপের সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে নৌযাত্রায় বি🌳শৃঙ্খলা ও জনদুর্ভোগের পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে।

Link copied!