আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় দিন-রাত অবিরাম মিছিল-মিটিংয়ে ব্যস্ততম সময় পার করছেন প্রার্থীরা। বসে নেই প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরাও। সব মিলিয়ে গাজীপুরে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যদিও প্রতিদিনই গাজীপুরে বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের মার পক্ষে বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম নানা রকম অভিযোগ করছেন। কিন🌞্তু এসব অভিযোগকে পাত্তা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। বরং বিভিন্ন প্রার্থীর প্রচারণায় গাজীপুܫর সরগরম।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ফলাফল কি হবে তা বোঝা যাবে। কিন্তু গাজীপুরের রাজཧনীতিতে এই নির্বাচন একটি বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া ফেলেছ✅ে। এই নির্বাচনে যেই জিতুক, যেই হারুক নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী ও সংঘটিত হয়েছে। নিজেদের শত্রুদের চিহ্নিত করতে পেরেছে। এটিই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন। আর এটি সম্ভব হয়েছে দলের দুই সাংগঠনিক সম্পাদকের কারিশমার কারণে। তারা হলেন মির্জা আজম ও এসএম কামাল হোসেন।
এই দুই সাংগঠনিক সম্পাদক শুরু থেকেই গাজীপুর নির্বাচনের ব্ꦉযাপারে কাজ করছেন। তবে যেনতেন প্রকারে দলীয় প্রার্থীকে নির্বাচিত করা নয় বরং আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং ভবিষ্যতে যেন কোনো অপশক্তি আওয়ামী লীগের ভেতর ঢুকে আওয়ামী লীগকে ক্ষতিগ্রস্ত না করতে পারে সেটি নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য এবং সেই লক্ষ্যে তারা সফল হয়েছেন।
ꦏমির্জা আজম ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বে। সেই হিসেবে গাজীপুরের সাংগঠনিক দেখভালের দায়িত্ব তার। তিনি ঢাকা বিভাগের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। শুধু গাজীপুর নয়, ঢাকা বিভাগের সব জায়গায় তিনি তৃণমূল থেকে সংগঠনকে গড়ে তোলার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবেই গাজীপুরে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের সামনে নিয়ে আসা হয়। তাদের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়। যার ফল এখন ভোগ করছেন আওয়ামী লীগ﷽ের প্রার্থী আজমত উল্লাহ।
এই ওয়ার্ড পর্যায় কমিটিগুলো যদি না হতো, তাহলে গাজীপুরে আওয়ামী লীগে যে বড় ধরনের একটি বিভক্তি হতো তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু আজমত উল্লাহকে 🍸এবার যখন প্রার্থী করꦉা হয়, তখন দেখা যায় যে মূল ধারার আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই, তারা ঐক্যবদ্ধ। আর ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রধান কারণ হলো শক্তিশালী কমিটি।
গাজীপুরের রাজনীতিতে আগে যেমন জাহাঙ্গীর আলমের একটি আলাদা ধারা ছিল তা ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিলেন মির্জা আজম। আর এবারের সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ করছেন এসএম কামাল। তিনি আওয়ামী লীগের যে সমস্ত ত্যাগী নেতাকর্মী রয়েছেন তাদের সঙ্🧜গে বৈঠক করেন, তাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার নির্দেশ দেন।
নির্বাচন বিষয়ে এক ধরনের বিশেষজ্ঞতা অর্জন করেছেন এসএম কামাল। তিনি বিভিন্ন এলাকার নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ꧑দায়িত্ব পালন করেন। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি এই সংগঠনকে ঐ😼ক্যবদ্ধ করেছেন নির্বাচনী প্রচারণায়। আওয়ামী লীগের জয়ের সহজ সূত্রটি তিনি জানেন। এই সূত্রটি হলো আওয়ামী লীগ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে কোনো শক্তি পরাজিত করতে পারে না। আর গত কয়েকদিন ধরে অবিরত গাজীপুরে গিয়ে তিনি আওয়ামী লীগকে উদ্বুদ্ধ করছেন, উজ্জীবিত করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, জাহাঙ্গীরꦚ আলমকে বহিষ্কারের মধ্য দিয়🐓ে গাজীপুরে যে বিভাজন এবং বিরুদ্ধ মত ছিল তা কেটে গেছে। এখন পুরো দল ঐক্যবদ্ধ। আর এটির ফলাফল হবে সুদূরপ্রসারী। নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ গাজীপুরের জন্য একটি বড় সম্পদে পরিণত হচ্ছে। আর এর কৃতিত্ব অবশ্যই এই দুই সাংগঠনিক সম্পাদক পেতেই পারেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, “গাজীপুর সিটি নির্বাচনে নৌকার সমর্থকের সংখ্যা অনেক বেশি। আওয়ামী লীগ মনোনীত প🅷্রার্থী আজমত উল্লাহ আর্দশবান-স্বচ্ছ ও সাংগঠনিক কাঠামোও তার শক্তিশালী। ইতোমধ্যে♏ গাজীপুরের কাউন্সিলর প্রার্থীরাও শুধু নিজেদের ভোট চাওয়ার পাশাপাশি নৌকার ভোট চাইছেন। সব মিলিয়ে এখানে বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় হবে বলে আশা করছি।”