রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে চলছে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের মনোনয়ন ফরম বিক্রয় কার্যক্রম। পুরো অ্যাভিনিউ চত্বর ভরে গেছে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পদচারণায়। ঢোলের তালে তালে কেউ নাচছꦅেন আবার কেউ স্লোগান দিয়ে প্রার্থীকে স༺মর্থন জানাচ্ছেন।
এসবের মাঝে দেখা গেলো ব্যতিক্রমী একজনকে। সাদা-কালো পরিপাটি চুল-দাড়ি তার। শরীরে চেক টি-শার্ট ও ট্রাউজার। আর পিঠে একটি ব্যাগ। তিনি ফেরি করে বিক্রি করছেন দলীয় লোগো ও ছবি সংবলিত ব্যাজ (কোট পিন☂)। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আসা নেতাকর্মী ও সমর্থকরাই তার ক্রেতা।
বিষয়টি ভিন্ন আর একটু ব্যাতিক্রম। তবে সত্যি যে, রাজনৈতিক দলগুলোর পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, মিছিল-মিটিংয়൩ে যখন অন্যান্য ব্যবসায়ীদের বেচা-কেনা কমেছে, সে সময়ে জোয়ার এসেছে এই ফেরিওয়ালার ব্যবসায়। শুধু তাই নয়, তার ব্যবসার প্রসার আর সং꧟সার চলে মিছিল-মিটিং আর এ ধরনের সমাবেশকে ঘিরেই।
কথা হয় এই ফেরিও🃏য়ালার সঙ্গে। আলাপচারিতায় তিনি জানান, তার নাম মিছর আলী। তিনি রাজধানীর কদমতলী এ꧙লাকার বাসিন্দা।
তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “গত ৪/৫ বছর ধরে এই ব্যবসা করি। আগে ডিশ লাইনের কাজ করতাম। সেখানে মিথ্যা কথা বলতে হয় বলে সেই ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছি। তারপরে ৫ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করি। এখন আমার পুঁজি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। সারাদিনে ২ হাজার টাকা বিক্রি করলে ১ হাজার টাকা লাভ হয়। এই ব্যবসা করে মেয়ের বিয়ে দিয়েছি, ছেলেকে পড়াচ্ছি। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় একটু কষ্ট হয় বটে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে চলে যাচ্ছে। ছেলেটাকে একটা ভালো জায়গায় দেখতে চাই। তারপরে আমার ছুটি। দেশে যে কোনো ন𝓰ির্বাচন, মিছিল আর সমাবেশ হলেই আমাদের ব্যবসা ভালো হয়।”
শুধু মিছর আলী নয়, অ্যাভিনিউ চত্বরে পাওয়া যায় রেজাউল করিম নামের একজনকে। তিনি রাজধানীর রায়েরবাগ এলাকার বাসিন্দা। তিনি বলেন, “৭ থেকে ৮ বছর ধরে এই ব্যবসা করে আসছি। এখন নির্বাচন আসছে, আর আমাদের ব্যবসার মৌসুম শুরু হয়েছে। ব্যবসা আল্লাহ দিলে ভালো হচ্ছে। এই ব্যবসা দিয়েই আমাদেꦍর সংসার চলౠে।”