রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ করার পরও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আইনি পথে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন ꦅবলে জানিয়েছেন তার আইনজী🔴বী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
রোববার (৩ নভেম্বর) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আপিল শুনানির উদ্যোগ 🗹নেয়ার পর এম🌃নটা জানিয়েছেন তারা।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট দুপুরে প্রধানꦡমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ওইদিন সন্ধ্যায় বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়কের সঙ্গে বঙ্গভবনে বৈঠকে বসেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় জিয়া চ্যারিটেবল ট꧂্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফের। পরদিনই যার গেজেট প্রকাশ করা হয়।
রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ করার পরও আজ রোববার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা নিয়ে হাইকোর্টে এক আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। সেখানে বলা হয়, এ মামলার শুনানি তারা করতে চান দ্রুত। আর তাই পেপারবুক প্রস্তুতও করতে চান নিজ খরচে। পরে বেগম খালেদা জিয়ার সেই আবেদন মঞ্জুর করেন উচ্চ আদালত। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামা﷽ন ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
কিন্তু রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ করার পরও আবার ফের মামলার শুনানি করতে চান বিএনপি নেত্রী? এমন প্রশ্নে আইনজীবীরা বলছেন, কারও ক্ষমায় নয়, আইনি পথে হেঁটেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চান ব💧েগম জিয়া।
এ দুই আইনজীবী জানান, জিয়া অরফা🐻নেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাননি খালেদা জিয়া। বরং তিনি আইনি পথে নিজেকে নির্দোষ☂ প্রমাণ করতে আইনজীবীদের নির্দেশ দেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট🌟্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫’র বিচারক মো. আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি)। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সাজা হয় মামলার অপর তিন আসামিকেও।
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন: খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈ🐎তিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। সে সময় হারিছ চৌধুরী পলাতক ছিলেন। বাকি আসামি๊রা হাইকোর্টে আপিল করেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।