• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


‘প্রস্তাবিত বাজেট পোশাকশিল্পের জন্য হতাশাব্যঞ্জক’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৪, ০৫:১৭ পিএম
‘প্রস্তাবিত বাজেট পোশাকশিল্পের জন্য হতাশাব্যঞ্জক’
যৌথ সংবাদ সম্মেলন। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পোশাকশিল্পের জন্য হতাশাব্যঞ্জক। বাজেটে ইনসেনটꦿিভের ওপর আয়কর অব্যাহতি, শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ভ্যাটমুক্ত রাখা, ওজন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা, আয়কর ২০ শতাংশ থেকে 🐈কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু এগুলো বাজেটে উঠে আসেনি।

শনি🌺বার (৮ জুন) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমেইএ’র যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কঠিন বাস্তবতায় নানামুখী চ্যালেঞ্জ নিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সংকোচনমূলক বাজেট প্রস্তাবনা করা হয়েছে। উচ্চতর প্র♎বৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশিমক ৭৫ শতাংশ ধরা হয়েছে এবং মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে ধরে রাখার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। বাজেটে শিক্ষা ও দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, কৃষি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, অবকাঠামো ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে অগ্🐻রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এগুলো বাজেটের ইতিবাচক দিক।

ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, “যদিও বক্তব্যে একাধিকবার মূল্যস্ফীতিকে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আসায় আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে বৈদেশিক মুদ্রা আহর♐ণের এই প্র♔ধান খাতটির জন্য কিছু নীতি সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও বর্তমান কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের মূল প্রস্তাবগুলো প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিফলিত হয়নি।”

ব্যবসায়ী নেতারা আরও বলেন, “বস্ত্র ও পোশাকশিল্পের জন্য সহায়ক প্রস্তাবনাগুলোকে আমরা সাধুবাদ জানাই। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ভ্যাট আপিলের ক্ষেত্রে দাবি করা অর্থের ২০ শতাংশ জমা দিতে হতো। সেটা কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। ১৭টি বিভিন্ন টেক্সটাইল পণ্য রেয়াতি হারে আমদানির সুবিধা দেওয়া হয়েছে। শিল্প কারখানায় ৫০ টন বা অধিক ক্ষমতার চিলার আমদানির ক্ষেত্রে সর্বমোট কর ১০৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। পূর্বে এটি এক শতাংশ রেয়াতি🅺 হারে আমদা🃏নির বিধান ছিল। আমরা পুনরায় এটি এক শতাংশ রেয়াতি হারে আমদানির অনুমোদন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।”

তিনটি সংগঠনের দাবি, কাস্টমস আইন ২০২৩-এর ১৭১ ধারায় আমদানি করা পণ্যের এইচ এস কোড ভুল হলে যে ২০০-৪০০ শতাংশ জরিমানার বিধান করা হয়েছে, সেটা তারা প্রত্যা🉐হারের অনুরোধ জানিয়েছে। ভুলের জন্য অতি উচ্চ হারে মাশুল নেওয়া কোনোভাবেই যুক্তিসংগত নয়। পাশাপাশি নতুন কাস্টমস আইন বাস্তবায়নের আগে সব অংশীদারের সঙ্গে আলোচনা করার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, “বাজেটে শিক্ষা ও দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, কৃষি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অবকাঠামো ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এগুলো বাজেটের ইতিবাচক দিক। তবে বৈদেশিক মুদ্র🍃ার রিজার্ভ কমে আসায় আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের এই প্রধান খাতটির (পোশাক খাত) জন্য কিছু নীতি সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হলেও মূল প্রস্তাবগুলো প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিফলিত হয়নি। তবে বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের জন্য সহায়ক প্রস্তাবনাগুলোকে আমরা সাধুবাদ জানাই।💟”

এস এম মান্নান কচি আরও বলেন, “রিজার্ভের ওপর চাপটি বিশেষভাবে লক্ষণীয়। কোভিড মহামারি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ভূ-রাজনৈতিক কারণে সৃষ্ট বিশ্বমন্দ🔯া ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং তা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন দেশে সুদের হার বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভোক্তাদের কেনার ক্ষমতা কমে এসেছে। একই সঙ্গে পণ্যের দরপতন হয়েছে এবং স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন ব্যয় ৫ বছরে দফায় দফায় প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে শিল্প একটি সংকটময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়েܫ যাচ্ছে।”

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!