তাপদাহে অস্থির দেশের মানুষ। এর মধ্যে꧃ চলছে তীব্র লোডশেডিং। তাই একটু স্বস্তির জন্য অনেকেই ছুটছেন চার্জার ফ্যান কিনতে। কিন্তু গরম ও লোডশেডিংয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চার্জার ফ্যানের দাম। একই সঙ্গে দেখা দিয়েছে চার্জার ফ্যানের সংকট।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি বিদেশি নানা ব্র্যান্ডের চার্জার ফ্যান রয়েছে। আকার ও মান ভেদে বিভিন্ন দামে পাওয়া যাচ্ছে। তবে চাহিদা বাড়ায় বাজারে এই মুহ🌸ূর্তে চার্জার ফ্যানের সংকটও রয়েছে। এই সুযোগে ফ্যানের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন কিছু ব্যবসায়ী।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের মাম ইলেক্ট্রনিক্সে গিয়ে দেখা হয় মহিউদ্দীন নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি সাড়ে সাত হাজার টাকা দিয়ে একটি বিদেশি ব্র্যান্ডের ফ্যান কিনেছেন। 𒊎কথা হলে তিনি বলেন, “গরমে টেকা দায়। তার ওপর রাতে বিদ্যুৎ যায় কয়েকবার🃏। তাই আজ ফ্যান কিনতে আসলাম। কিন্তু দাম অনেক বেশি।”
আরেকজন ক্রে♈তাকে দেখা গেল🅺ো এসে দেখে চলে যাচ্ছেন। দাম বেশি বলে কিনতে পারছেন না।
এদিকে দামের ব্যাপারে ক্রেতাদের অভিযোগের কথা স্বীকার করে মাম ইলেক্ট্রনি🐻ক্সের মালিক বলেন, “সকালে ক্রেতাকে কথা দিলে বিকেলে কথা রাখতে পারছি না। দাম বেড়ে যাচ্ছে। এখন যে দামে চার্জার ফ্যান বিক্রি করছি, এক মাস আগেও সেই একই দামে দুইটা চার্জার ফ্যান নিতে পারতো ক্রেতারা। এই এক স🐽প্তাহেই দামটা বেশি বাড়ছে।”
দাম বাড়ছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “উৎপাদন কম। যেগুলো দেশের বাইরে থেকে আসে সেগুলো আসছে কম। তাই ফ্যান কম। আমার কাছেই মাত্💛র দুইটা আছে। কিছুক্ষণ পর এলে এই দুইটাও থাকবে না।”
তেজগাঁওয়ের বিভিন্ন দোকান, ফার্মগেট এলাকা ও বিজয় সরণী ঘুরে দেখা যায়, 🐷অনেক দোকানে চার্জার ফ্যান নেই। দোকানিরা বলছেন, এতদিন ছিল। এখন শেষ হয়ে গেছে। বিভিন্ন দেশি ব্র্যান্ডের শোরুম ঘুরেও দেখা যায় তাদের কাছে থাকা চার্জার ফ্যান বিক্রি হয়ে গেছে।
তেজগাঁওয়ের হোসেন ইলেক্ট্রনিক্সের এক কর্মচারী বলেন, “গরম আসার আগে যে ফ্যান🦋 ছিল ৩ হাজার টাকা, গ𒉰রম শুরু হওয়ার পর হয়েছে ৫ হাজার টাকা। ক্রেতাদের সঙ্গে ঝামেলা হয়, সে জন্য রাখি না।”
বিজয় সরণীতে দেশীয় ব্র্যান্ডের এক দো💜কানে গিয়ে দে๊খা গেলো, সেখানে চার্জার ফ্যানের ক্রেতা অনেক। কিন্তু দোকান কর্মচারীরা সেই পরিমাণে ফ্যান সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে ফ্যান না কিনেই ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককে।
﷽মো. আলম হোসেন মণ্ডল নামের এক ক্রেতা বলেন, “বাসায় ছোট বাচ্চা আছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে বাচ্চার খুব সমস্যা হচ্ছে। ৫৭০০ টাকা দিয়ে নিয়েছি। এলꦍাকায় এইটা ৮ হাজার টাকা চেয়েছে।”
এরই মধ্যে আরেক ক্রেতা এলেন তার ৩ থেকে ৪ বছর বয়সী বাচ💎্চা মেয়েকে নিয়ে। তিনি🍨 বলেন, “এতো কারেন্ট যাচ্ছে যে টেকা মুশকিল। ছোট বাচ্চাটার জন্য একটা চার্জার ফ্যান নিতে এসেছি।”
দেশীয় ব🍌্র্যান্ডের একটিﷺ প্রতিষ্ঠানে ব্রাঞ্চ ইনচার্জ কুলসুম পারভিন চার্জার ফ্যান সংকট প্রসঙ্গে বলেন, “দেশীয় ব্র্যান্ড হলেও কিছু কাঁচামালের জন্য অন্য দেশের ওপর নির্ভর করতে হয়। এলসি জটিলতায় পর্যাপ্ত কাঁচামাল আনা যাচ্ছে না। তাই উৎপাদন কম।”