বিএনপি আমলে জনগণের বাক্স্বাধীনতা ছিল না, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ছিল না বলে মনে মন্তব্য করেছেন মাদারীপুর-২ আসনের সংস𓄧দ সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বলেছ♎েন, “বিএনপি বর্তমানে বাক্স্বাধীনতার কথা বলছে, গণতন্ত্রের কথা বলছে। কিন্তু ২০১৪-১৫ সালে তারা গণতন্ত্রের জিগির তুলে নির্বাচন বানচাল করার জন্য অগ্নিসন্ত্রাস করে।”
শনিবার (🅺৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে ‘সুবর্ণজয়ন্তী’ উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর♌ আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্ব সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।
শাজাহান খান বলেন, “শত শত মানুষকে হত্যা করে, পুড়িয়ে-কুপিয়ে মারে। তারা এভাবে শ্রমজীবী, সাধারণ মা♊নুষতে হত্যা করে ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিজয় লাভ করে বাড়ি ফেরার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ তা হতে দেয়নি, বিজয় তো দূরের কথা, মাথা নিচু করে তাকে বাড়ি ফিরতে বাধ্য করে।”
তিনি বলেন, “এ জাতীয় সংসদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া, ত𓆏াঁর স্মৃতিধন্য। কিন্তু ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট যারা বঙ্গবন্ধুকে প্রত্যক্ষভাবে হত্যা করেছিল তাদের এই সংসদে এনে বসিয়েছিলেন। তাদের হ🌃াতে পতাকা তুলে দিয়েছেলেন যাদের হাত বঙ্গবন্ধুর রক্তে রঞ্জিত। বিএনপি এভাবে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের এই সংসদে এনে পবিত্র সংসদকে অপবিত্র-কুলষিত করেছিল।”
তিনি আরও বলেন, “বঙ্🐈গবন্ধু ছিলেন সত্যিকার অর্থে একজন অপ্রতিরোধ্য মহামানব, তিনি সাচ্চা দেশপ্রেমিক, বাঙালি জাতির হৃৎপিণ্ড। তিনি🌊 অকুতভয় সৈনিক, তিনি দানবীর, হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা। বঙ্গবন্ধু যদি জীবিত থাকতেন তাহলে তিনিই হতেন বিশ্বের অবহেলিত, মেহনতি মানবতার মূর্ত প্রতীক। যা ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিও বলেছিলেন।”
বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, “আপনারা আসুন, নির্বাচনে অংশ নেন। একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন রয়েছে। তাদের নেতৃত্বে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে আপনারা অংশ নিয়ে জনগণের ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসুন। অন্য কোনভাবে ক্ষমতায় 🦹আসার সুযোগ নেই।”