• ঢাকা
  • শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


যে কারণে গ্যাস সংকটে ভুগছে রাজধানীবাসী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৪, ০৫:৩৬ পিএম
যে কারণে গ্যাস সংকটে ভুগছে রাজধানীবাসী
গ্যাস সংকটে জ্বলছে না চুলা। ছবি : প্রতীকী

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্💦যাসের সরবরাহ লাইনে সংকট দেখা দিয়েছে। সরবরাহ পর্যাপ্ত না থাকায় জ্বলছে না চুলা। এতে দুর্ভোগে পড়েছে নগরবাসী।

জানা গেছে, গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক পাওয়া যায়। তবে এ সময়টিতে গ্যাস তেমন কাজে লাগে না অনেকেরেই। পাইপলাইনে গ্যাসের সরবরাহ ভালো না থাকায় বাড়তি খরচে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিল🍷িন্ডার ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। এতে পরিবারের খরচ বেড়েছে অনেক। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই শিল্প-কারখানায় উৎপাদন অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় গ্যাসের সরবরাহ না পাওয়ার অভিযোগ তুলছিলেন উদ্যোক্তারা। এখন এ সংক🐻ট আরও তীব্র হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। মো🥀ট বিদ্যুতের ৪৩ শতাংশ গ্যাস থেকে উৎপাদন করা হয়। তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে আবাসিক খাতেও। রান্নাবান্নার জন্য পর্যাপ্ত গ্যাস পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোর বাইরে সিএনজিচালিত পরিবহনের ভিড়। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। চাহিদার তুলনায় গ্যাসের সরবরাহ কম। তবে শীতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার কমায় এ সময় গ্যাসের সংকট অনুভূত হয় তুলনামূলক কম। কিন্তু এবার শীতে তীব্র হয়ে দেখা দিয়েছে গ্যাসের এই সংকট। 

শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবℱে না বলে জানিয়েছেন পেট্রোবাংলা ও গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

তারা বলছেন, ভাসমান একটি এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ থাকায় গ্যাসের সরবরাহ কমেছে। আবার দেশের বৃহৎ সার কারখানাগুলোয়ও সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে রাজধানী ও আশপাশের অঞ্চলগুলোয় গ্যাসের সরবরাহ কমেছে। দীর্ঘদিন ধরে চাহিদার তুলনায় ঘাটতির মধ্যে রয়েছে 🐻দেশের গ্যাস খাত।

পেট্রোবাংলা সূত্র বলছে, দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুটের বেশি। ১২ ডিসেম্বর থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে ২৫০ কোটি ঘনফুটের সামান্য বেশি। দেশে বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের চাহিদা ১৭৩ কোটি ঘনফুট গ্যাস। বর্তম🧸ানে সরবরাᩚᩚᩚᩚᩚᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ𒀱ᩚᩚᩚহ করা হচ্ছে ৭৩ কোটি ঘনফুট।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, “গ্যাসের সংকট আছে দেশে, এটা ব🌜াস্তবতা। সামনের দিনগুলোয় এলএনজি সরবরাহ বাড়ানো গেলে এ সংকট অনেকাংশে কেটে যাবে। স্পট থেকে এলএনজি আমদানি শুরু হলে আশা করি সংকট থাকবে না।”

তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, নিজস্ব উৎসে গ্যাসের উৎপাদন কমার পাশাপাশি এলএনজি আমদানিও হচ্ছে কম। গত অক্টোবর থেকে স্পট এলএনজিಌ আমদানি বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে জাতীয় গ্র🍌িডে এলএনজির সরবরাহ আছে মাত্র ৫০ কোটি ঘনফুট।

আবাসিকে জ্বলছে না চুলা

গত নভেম্বর থেকে দিনের বেশির ভাগ সময় গ্যাস থাকে না আবাসিকে। বিকেলের দিকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও সকালে পাওয়া যায় না। এতে ভোগান্তি বেড়েছে গ্রাহকদের। পাইপলাইনে গ্যাস না থাকায় আবাসিকের গ্রাহকদের বাধ্য হয়ে এলপিজি সিলিন্ডার, ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহার করতে হচ্ছে। গুনতে হচ্ছে বাড়🍎তি টাকা। খিলগাঁও, বনশ্রী, মিরপুর, গোড়ান, মোহাম্মদপুর, শুক্রবাদ, যাত্রাবাড়ী, আদাবর, সোবহানবাগ, উত্তরা, দক্ষিণখান, বাড্ডা ও রাম♑পুরা, কলাবাগান, বসুন্ধরা, পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর সিংহভাগ এলাকায় বেলা ১টার আগে গ্যাস আসে না বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকেরা।

দক্ষিণ গোড়ানের বাসিন্দা গৃহিণী রাহেলা জামান বলেন, ‘আমার বাসায় সক𓄧ালে গ্যাসই থাকে না। নাশতা তৈরি করতে তিন মাস ধরে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করতে হচ্ছে। এজন্য গড়ে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। আবার তিতাসকেও বিল দিতে হচ্ছে।’

বনশ্রীর এইচ ব্লকের বাসিন্দা হাজি আবদুল বাতেন 🤡বলেন, এ বছর শীত পড়ার আগেই গ্যাসের সমস♔্যা দেখা দিয়েছে। বৈদ্যুতিক চুলা দিয়ে সকালে রান্নাবান্না করতে হয়।

শিল্প খাতও ভুগছে তীব্র গ্যাস সংকটে

গত ৫ ডিসেম্বর শিল্প খাতও ভুগছে তীব্র গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না উল্লেখ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)। চিঠিতে সংস্থাটি দেশের প্রধানতম রপ্তানি খাত নিটশিল্প ক✤্রান্তিলগ্ন অতিক্রম করছে বলে উল্লেখ করে।

বিকেএমইএ সূত্র বলেছে, নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে ১৪৭টির মতো ডায়িং প্রতিষ্ঠান ও ৪২০টির মতো বড়-মাঝারি-ছোট নিট কারখানা রয়েছে। এই অঞ্চল থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকার নিট পণ্য রপ্তানি হয়। গত ১৬ অক্টোবরꦅ থেকে এই অঞ্চলে গ্যাসের প্রবাহ নেই বলল🐈েই চলে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। ঠিকমতো পণ্য রপ্তানি করতে না পারায় নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের অনেক নিট কারখানা বেতন পরিশোধ করতে পারেনি। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের শ্রমিক অসন্তোষ দানা বাঁধতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিকেএমইএ।

এ ব্যাপারে বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মো. হাতেম বলেন, “গ্যাস সংকটের কারণে নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে থাকা পোশাক কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে গত 🍷অক্টোবর থেকে। বিষয়টি তাড়াতাড়ি সমাধান না করা গেলে রপ্তানি ধাক্কা খাবে।”

Link copied!