এবারের ঈদুল আজহা থেকে ‘ছাগল-কাণ্ডে’ তোলপাড় দেশ। এই কাণ্ডে বেরিয়ে এসেছে কাস্টমস কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিপুল দুর্নীতির হদিস। সেই সঙ্গে আলোচনায় ‘বংশমর্যাদাসম্পন্ন’ গরুও। গরুটি ছিল ব্রাহমা জাতের। এই গরু বাংলাদেশে আমদানি নিষিদ্ধ। কিন্তু সেই গরুকে উচ্চবংশীয় গরু আখ্যা দিয়ে বিক্রি করে সাদিক অ্যাগ্রো নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীসময়ে অ্যাগ্রোটির নানা অনিয়ম বেরিয়ে আসে সংবাদ মাধ্যমে। পরে অনিয়মের অভ🔜িযোগে রাজধানীর সেই খামার উচ্ছেদ করা হয়।
ব্রাহমা জাতের গরু বিশ্বের অনেক দেশেই জনপ্রিয়। এই গরু বেশ মাংসল। এর পুষ্টিগু💞ণও ��ভালো। তাহলে কেন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ এই গরু?
জানা যায়, ব্রাহমা জাতের গরুর আদিবাস ভারতে। ১৮৮৫ সালের দিকে ভারত উপমহাদেশের এই গরু নিয়ে অন্যান্য ভালো জাতের গরুর সঙ্গে সংকরায়🧸ণ করে ব্রাহমার এই জাত উদ্ভাবন করে যুক্তরাষ্ট্র। উন্নত জাতের ও মাংসল গরু হওয়ায় দ্রুতই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই গরু💝 ছড়িয়ে পড়ে।
এ জাতের গরু আকারেও অনেক বড়। এর ওজন ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর আচরণ শাꦯন্ত প্রকৃতির হওয়ায় লালনপালনও সহজ। এ গরুর মাংসের গুণও তুলনামূলক ꦐভালো।
এ গরু ꧃উষ্ণ ও আর্দ্র অঞ্চলে সহজে বেড়ে ওঠে, যার জন্য বাংলাদেশের আবহাওয়া এ গরুর জন্য খুবই উপযোগী। এর ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা অনেক বেশি হওয়ায় সহজে কোনো রোগে সহজে আক্রান্ত হয় না।
তবে ব্রাহমা জাতের গরুর দুধ উৎপাদনের ক্ষম♛তা কম। এ গরুর বাচ্চার আকার বড় হওয়ায় দুধের চাহিদা বেশি হয়ে থাকে। এটি যতটা দুধ দেয়, তাতে শুধু বাছুরের চাহিদাই মেটে।
দুধ উৎপাদন ক্ষমতা কম থাকার কারণেই বꦫাংলাদেশে ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি নিষিদ্ধ। কারণ খামারিরা বেশি মুনাফার আশায় যদি ব্যাপক হারে ব্রাহমা উৎপাদন করেন, তাহলে দেশে গরুর দুধের উৎপাদন কমে যেতে পারে। তাই দেশের দুগ্ধ উৎপাদন খাতকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্যই বেসরকারি পর্যায়ে এ জাতের গরু আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জাতের গরু বাংলাদেশে পালন ও উৎপাদন নিষি﷽দ্ধ নয়। তবে ২০১৬ সালে এক নীত♋িমালার মাধ্যমে এ জাতকে আমদানি নিষিদ্ধের তালিকায় রাখা হয়েছে।