আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, “তারেক ও জোবায়দার মামলার বিচার শুরু হবার পর থেকেই বিএনপির আইনজীবীরা হট্টগোল করে আদালত চত্বরে কি অবস্থা সৃষ্টি করছে তা 💝সবাই দেখছেন।”
তিনি বলেন, “ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে সরকার কোনো মামলা করে নাই। শ্রমিকরা মামলা করেছেন। অথচ বিভিন্ন দেশের নোবেল বিজয়ীরা হস্তক্ষেপ করেছেন। এটা একটা দেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ। তারা মামলা স্থগিতের কথা বলতে পারেন না। তারা বলতে পারতেন, ইউনূস যেন ꧋ন্যায় বিচার পান। তার꧑া আইনি লড়াইয়ের জন্য এ দেশে আইনজীবী পাঠাতে পারতেন।”
১২ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিচার বিভাগের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে জয় বাংলা ঐক্য মঞ্চ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “বহু নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, কিন্তু ইউনুস নিয়ে কেন এꦜত আগ্রহ এমন প্রশ্ন করেন সাবেক এই মন্ত্রী।”
কামরুল বলেন, “আজ বিএনপি তার পক্ষে গেছেন। অথ𒊎চ এই ইউনুস খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল। সেই বিএনপি নির্বাচনে না এসে সরকারের পদত্যাগ চান,তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান। এগুলো নির্বাচনে অংশ না নিয়ে এরশাদ ও জিয়ার মতো ক্ষমতায় আসার পায়তারা। তারা আরও একটা এক এগারোর সরকারের জন্য কাজ করছে। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশকারীরা ও আছে ” অনুপ্রবেশকারীদের দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আওয়ামী ✱লীগ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকলে এক এগারোর ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ পাবে না। সে সময় শুধু তৃণমূলে সজাগ ও ঐক্য থাকায় আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে টিকে আছে। নভেম্বর অক্টোবর থেকে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে এক এগারোর ষড়যন্ত্রকারীরা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চেষ্টা করবে বলে জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।
অজয় বাংলা ঐক্য মঞ্চের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসমত কাদির গামা, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপ𒀰ক ড. ওয়াহিদুজ্জামান চাঁন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, জয় বাংলা ঐক্য মঞ্চের ভাইস চেয়ারম্যান কামাল চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক অ্যাডভেকেট নাজমা কাওসার,মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালালসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, একজন বাংলাদেশি মানুষ কখনও স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে শহীদ মিনার ও স্মৃতি সৌধে যান না। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে নানান ধরনের অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন, সেই মানুষটির নাম ড. ইউনুস। সেই প্রশ্নবিদ্ধ ব্ܫয্যক্তি বাংলাদেশের সম্মানিত কেউ হতে পারেন না।