জা🍒তিসংঘের মা🧸নবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার টুর্কের বিবৃতি ত্রুটিযুক্ত ও একপেশে বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ের মন্ত্রণাল♐য় সভাকক্ষে সাংবাদি🅠কদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি দাবি করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি বিবৃতি পড়েছি। এতে আগুনসন্ত্রাস করে, পেট্রলবোমা নিক্ষেপ ✱করে মানুষ পোড়ানোর ব্যাপারে কোনো কথা নেই। সেখানে মানবাধিকারের কথা বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের কথা বলা হয়েছে। অথচ গ্রেপ্তার তো তাদেরই করা হচ্ছে যার♉া আগুনসন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত।”
মানবাধিকার হা🌺ইকমিশনারের উদ্দেশে তিনি বলেন, “গাজায় যেভাবে মানুষ হত্যা হচ্ছে সেই বিষয়ে কিছু বলেন। মানবাধিকার কমিশনের এই বিবৃতি তখনই ঠিক ও গ্রহণযোগ্য হতো, যখন নির্বাচনকে প্রতিহ꧒ত করতে যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস চালানো ও মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, তা নিয়ে বক্তব্য থাকত এবং সেগুলোর নিন্দা জানানো হতো। কিন্তু তা নেই বলে এই বিবৃতি পক্ষপাতদুষ্ট, অসম্পূর্ণ এবং একপেশে বলে প্রতীয়মান। তবে নির্বাচন নিয়ে ভারত, চীন, রাশিয়ার তাৎক্ষণিক প্রশংসাতেই হয়তো বা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতি একটু অন্যরকম।”
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতি খানিক নেতিবাচক কি না জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে সেখানে নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে আসা যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজের সাবেক চিফ অব স্টাফ, সাবেক কংগ্রেসম্যান, সিবিএস নিউজের চিফ নিউজ এডিটর এবং অন্যান্য দেশ তথা জার্মানি, ইইউ পার্লামেন্টের সাবেক মেম্বারা ছিল। তারা সবাই সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচনের𝓀 প্রশংসা করেছেন।”
চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে টানা চতুর্থবার নির্বাচিত এ সংসদ সদস্য বলেন, “বিএনপি এবং তাদের সমমনা দলগুলো এখন হতাশায় ভুগছে, কেন তারা নির্বাচন করল না। বুঝতে পেরেছে, এই নির্বাচন বর্জন করে তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ, ভারতসহ সার্কভুক্ত দেশগুলো এবং ওআইসিভুক্ত দেশগুলোসহ জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, দেশে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে ত🔯ারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে অভিনন্দনও জানিয়েছেন।”
হাছান মাহমুদের মতে, “বিশ্ব প্রেক্ষাপটে সবসময় চীন, রাশিয়া যা বলে, যুক্তরাষ্ট্র তার উল্টোটা বলে। ভারত, চীন, রাশিয়া একযোগে বলেছে নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠু হওয়ার অভিমত ব্যক্ত না করত, তাহলে হয়তো মার্কিন পররা൩ষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতি অন্যরকম হতো বলে আমার ধারণা।”
নির্বাচন কম🔴িশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “তারা শক্ত হাতে কার্যকরভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে যেভাবে নির্বাচন করেছে, এ জন্য নিঃসন্দেহে ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। আগের নির্বাচনের সঙ্গে এবারের নির্বাচন মিলিয়ে দেখা যায়, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া অনেক কম সহিংস ঘটনা ঘটেছে।”